এস এম মনিরুজ্জামানঃবাগেরহাট জেলার বেশিরভাগ মানুষ মৎস্য চাষী।এখানকার বেশিরভাগ মানুষের বড় আয়ের উৎস গলদা চিংড়ি, সাদা মাছের চাষের উপর।
সারাদেশে যখন বন্যায় প্লাবিত, হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি।রাস্তার উপর দিয়ে নৌকা পর্যন্ত চলছে,শত শত ঘর বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
ঘর বাড়ি তলিয়ে থাকায়,হাস,মূরগী,গরু,ছাগল নিয়ে বহু মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করেছ, ঠিক তখনই খুলনা সহ বাগেরহাট জেলায় বৃষ্টি না হওয়াই, পানির অভাবে মৎস্য চাষে চরম হতাশায় মৎস্য চাষীরা।পানির অভাবে চাষীরা যে সব চারা মাছ ঘের/প্রজেক্টে ছেড়েছে সে গুলো বাচিয়ে রাখতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।অনেক চাষীদের মাছ মারা যাচ্ছে।
অতিরিক্ত গরমে এবং বৃষ্টি কম হওয়াতে ঘেরের পানি গরম হয়ে মাছ মারা যাচ্ছে।বৃষ্টির পানি না হওয়াই মাটি -পানি গ্যাস হয়ে অক্সিজেন ফেল করে মাছ মারা যাচ্ছে।মাছকে ঠিক মত খাবার খাওয়াতে পারছে না।
ফলে যদিও চাষীরা চেষ্টা করছে মাছ বাচিয়ে রাখতে।কিন্তু পানি কম থাকাতে খাবার ঠিক মত দিতে না পারায় মাছের গ্রোত এবং পোডাকশন দুটোই কম হচ্ছে।এতে করে মৎস্য চাষীরা বড় আকারে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছে।
এখানকার শত শত মৎস্য চাষীদের ঘের/প্রজেক্ট থেকে নদী দশ থেকে পনেরো কিলোমিটার দুরে থাকায় নদী থেকে পানি আনতে ব্যার্থ হচ্ছে।
এসময় অন্যান্য বছর যেখানে ঘের/প্রজেক্টে জমিতে ৩/৪ ফুট পানি থাকে,সেখানে এ বছর পানির ছোয়াও পাইনি।এমন অবস্থা থাকলে বা আগামী দশ পনের দিনের ভিতর বৃষ্টি না হলে মৎস্য চাষীরা আর্থিক ভাবে বড় আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
Discussion about this post