মোঃ ফয়সাল এলাহী ঃএসময় শ্রমিকরা জানান বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছেন , ভাংচুর করতে আসেন নি । ছাঁটাই এবং বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে নগরীর দুইটি গার্মেন্টসের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পুলিশসহ দশ জন আহত হয়েছেন। সাদ–মুসা’র বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা অক্সিজেন–হাটহাজারী সড়কের ট্যানারি বটতল এলাকায় অবরোধ করেন। গত বুধবার বিকেলে বায়েজিদ থানাধীন ট্যানারি বটতল এলাকার ‘সাদ– মুসা গার্মেন্টেসে’ এবং সিইপিজেড–এর ‘সেকশন–সেভেন লিমিটেড’ এলাকায় পৃথক এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আবুল কালাম জানান, এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছিল। পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিতে গিলে তারা ইট–পাটকেল ছোড়া শুরু করে। এসময় পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে। শ্রমিকদের ছোড়া ইট–পাটকেলে তিনি নিজে এবং তিনজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে জানান ওসি কালাম। অন্যদিকে, শিল্প পুলিশের পরিচালক তোফায়েল আহামেদ জানান, কয়েকজন শ্রমিককে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ইপিজেডের ‘সেকশন–সেভেন লিমিটেড’ গার্মেন্টসের কিছু শ্রমিকরা ভাংচুর শুরু করে। জানা গেছে বেপজার কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে কারখানার মালিক দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে কিছু গার্মেন্টসের শ্রমিকরা তাহা মেনে নেন । কিন্তু সেই আশ্বাসে আস্থা রাখতে না পেরে বিক্ষুব্ধ কিছু শ্রমিকরা আবারও একত্রিত হয়ে ভাংচুর করে এবং প্রধান সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। এসময় শ্রমিকরা ইপিজেড কাস্টমসের সামনে এলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। তবে এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করেনি দাবি করেন শিল্প পুলিশ কর্মককর্তা তোফায়েল। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাশেষে অনেকে বিমানবন্দরে আসবেন। শ্রমিকেরা যেন সড়ক অবরোধ করতে না পারে সেজন্য তাদের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির কর্তব্যরত কর্মকর্তা শীলব্রত বড়–য়া জানান, কারখানার তিন শ্রমিককে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Discussion about this post