সাংবাদিক কামরান উল্যাহ ভূঞা প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দাগনভুঁইয়া প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষক তিনি বলেন
,মুক্তমনের অধিকারী সাংবাদিকের একমাত্র সাংগঠনিক যোগাযোগ স্থান হলো প্রেসক্লাব। একটি উপজেলায় মফস্বল সাংবাদিকরা সাধারণত এহেন ক্লব গঠন করতে নানাবিধ অসুবিধার মোকাবেলা করে সামনে এগুতে হয়, তারা মুক্ত বুদ্ধির চর্চা করতে পারে। তাদের মনের কথা লিখতে পারে এবং এলাকার বিভিন্ন ঘটনা ও দূর্ঘটনার খবর পরিবেশন করে সামাজিক দায়িত্ব পালন করার অনুভব করে।চিকিৎসকের মতো সাংবাদিকেরও একটি সার্বক্ষণিক পেশা, ঘড়ির ঘন্টা বেধে এর দায়িত্ব পালন করা যায় না। চিকিৎসকের মতো সাংবাদিকেরও দিন-রাত্রের যে কোন সময় দায়িত্ব পালনের ডাক আসতে পারে। তিনি সম্পাদক হোন, রিপোর্টার হোন বা সাব এডিটর হোন দায়িত্ব পালনের ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য চব্বিশ ঘণ্টা প্রস্ত্তত থাকতে হয়।একদিক থেকে চিকিৎসা এবং সাংবাদিকতা দুই পেশারই একটা বিরাট নৈতিক ভিত্তি রয়েছে।
এই নৈতিকতার বাধ্য বাধকতা না মেনে কারো পক্ষে খঁটি চিকিৎসক বা সাংবাদিক হওয়া সম্ভব নয়। চিকিৎসক এবং সাংবাদিক দুইজনেরই পেশার নৈতিক ভিত্তি সেবা। একজন চিকিৎসক মানবতার সেবা করেন, অন্যজন সমগ্র মানবতার সেবা করেন, চিকিৎসকের চাইতেও সাংবাদিকের সেবার পরিসার ব্যাপক।চিকিৎসক শুধু রুগ্ন ব্যত্তির সেবা করেন,সাংবাদিক করে রুগ্ন এবং অরুগ্ন গোটা সমাজের সেবা। চিকিৎসক ব্যক্তির রোগ, যন্ত্রণা উপশম করার চেষ্টা করেন, সাংবাদিক গোটা সমাজের অব্যক্ত ব্যাথা অকথিত অভিযোগকে ভাষা দিন। তারা আত্ম ও যন্ত্রণা উপশমের ব্যবস্থা পত্র দেন। একজন চিকিৎসক যখন তার পেশায় যোগদেন, তখন তাকে একটি শপথ বাক্য পাঠ করতে হয়।
সেবা শুরু সেবা হবে তার লক্ষ্য লোভ যেন তার সেবার লক্ষ্যকে কলুষিত না করে, সাংবাদিককেও রোজ সকালে একটি নীতিবাক্য স্মরণ করতে হয়।তা হল খবর শুধু সত্য এবং প্রকাশযোগ্য খবর আর অন্য কিছু দ্বারা তিনি প্রভাবিত হবেন না। এই নীতি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা সমঝোতা ও একতা সাংবাদিক না হওয়াই বিধেয়। সাংবাদিকের কাঠামো হবে মহাবস্থান এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা সমঝোতা ও একতা। সাংবাদিকগণ বহুদলের বহু মতের কাগজে বিভক্ত থাকে। কিন্তু পেশাগত লক্ষ্যে তারা এক এবং তাদের পেশাগত ঐক্যই হচ্ছে তাদের স্বার্থ অধিকারী ও বিবেকের স্বাধীনতা রক্ষার সবচাইতে বড় গ্যারান্টি, আমি তাদের শুভ কামনা করি।