সম্পাদক শেখ সেলিমঃপ্রবাসীরা হল মোমবাতি নিজে জ্বলে সকলকে আলোকিত করে তাই আত্মবিশ্বাস এই আলো আবার জ্বলবেই, মনে রাখতে হবে রাত যত গভীর হয় প্রভাত অতি নিকটে আসে ।করোনার কারণে বর্তমানে প্রবাসীরা চরম দূরদশার মধ্যে নিপতিত হয়েছে।
এদের অবস্থা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না।প্রবাসীদের চাকরি নেই, ব্যবসা নেই। ওরা এখন সর্বশান্ত। ওদের জন্য তাদের পরিবারও অনেক কষ্টে দিনযাপন করছে। বছরের পর বছর এই প্রবাসীরা আমাদেরকে দিয়েছে। আজ তাদের দুর্দিনে আমরা যদি তাদের পাশে না দাঁড়াই তাহলে আমরা বিশ্বাসঘাতক হিসেবে পরিনিত হবো।
আমাদের বিপদগ্রস্ত প্রবাসীদের রক্ষা করুন। এরাই আবার আমাদেরকে রেমিটেন্সের মাধ্যমে এই ঋণ শোধ করবে। সৌদি আরব, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ওমান, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, কোরিয়া, লিবিয়া, মালদ্বীব, সাউথ আফ্রিকা, কানাডা, ইরাকসহ আরো কিছু দেশ আছে যেখানে প্রবাসীদের কষ্টের সীমা নেই।
মালয়েশিয়াতে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কনস্ট্রাকশন সেক্টরের এবং অবৈধ শ্রমিকেরা । কারন তারা হাজিরা ভিত্তিক কাজ করে যেহেতু এখন লক ডাউন সবার কাজ নেই । মানে হাজিরাও নেই বেতন ও নেই। এদের দুঃখ দেখার কেও নেই, কস্ট শুনার ও কেউ নেই একদিকে রুমের ভাড়া অন্য দিকে খাবার খরচ সবচেয়ে বড় বিষয় হল তার পরিবার তার উপার্জনের উপর নির্ভরশীল। এখন এমন একটি অবস্হা নিজেই খেতে পারছেনা, রুম ভাড়া দিতে পারছেনা পরিবারকে কি দিবে?
এ দিকে পরিবার কস্টে বুকে পাথর চাপা দিয়ে দিন যাপন করছে। এমন একটি পরিস্হিতিতে বাংলাদেশী প্রবাসীরা যাবে কোথায়? সবচেয়ে লাজুক
তারা না পারছে কাজ করতে, না পারছে পরিবার চালাতে না, পারছে নিজে খেয়ে বেচে থাকতে। আসলে প্রবাসীরা অবহেলিত মানুষ। পরিবার পরিজন ছেড়ে দেশ ছেড়ে প্রবাসে রক্ত ঘাম ঝড়িয়ে উপার্জন করতেছে। সেই চাকাটাও বন্দ হয়ে যাবে কেইবা জানতো?
তাদের হৃদয়ের রক্তক্ষরন কেউ বুঝেনা। তাদের হৃদয়ের আর্তনাদ কেউ উপলব্ধি করে না। ক্ষত-বিক্ষত সহজ-সরল মনের অবস্থাটান নিরবে নিভৃতে কাঁদে এটা বুঝার ক্ষমতা হয়ত কারো নেই। এখন তারা দেশকেও রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছেনা, আবার নিজের পরিবারের পাশেও দাড়াতে পারছেনা অথচ এই প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সরকারকে তথা দেশকে এবং তার পরিবারকে বাচিয়ে রেখেছে। অথচ সেই প্রবাসীরা এখন কর্মহীন অনিশ্চিত একটি গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে তাদের এখন চারদিকে অন্ধকার মনে হচ্ছে,যেহেতু তারা ও রক্তে মাংসে গডা মানুষ খাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।
ভাত-ঢাল-আলুই অনেকের নিত্য খাবার হয়ে গেছে। অথচ তাদের উপার্জনে দেশের অর্থনীতি আকাশ চুম্বি হয়ে যায় তখন এই হৃদয়ের রক্ত ক্ষরন কার কাছে প্রকাশ করা যাবে! তাহলে প্রবাসীরা যে সারাজীবন পরিবার এবং দেশকে দিয়েই গেল এটাই কি তাদের অপরাধ ! না পারছে কাউকে বলতে আর না পারছে নিজেরা সইতে, এখন আল্লাহ এর দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোন বিকল্প পথ প্রবাসীদের কাছে নেই ।
Discussion about this post