ছোট গল্পের পটভূমি:
**বর্তমান সমাজের মধ্যে ঘটে থাকে বিভিন্ন ঘটনা, সেই ঘটনার একটি বহু আলোচিত ঘটনা হলো প্রেম নিয়ে ছিনিবিনি খেলা, এবং অবশেষে সেই প্রেমের অপমান ও মৃত্যু হয়ে যাওয়া।আমি বিভিন্ন বিষয়ে কল্পনা করি তবে এবারের কাল্পনিক বিষয়টি বেশ জটিল তবুও চেষ্টা আমার সমাজের মধ্যে কিছু অমানুষের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমাদের মা,বোনদেরকে একটু সর্তকতা অবলম্বনে চেষ্টা আমার।তাই কাল্পনিক ভাবে ফুটিয়ে তুলেছি একটি কাল্পনিক প্রেমের গল্পের কথামালা।যে কথামালা দিয়ে লিখতে পেরেছি একটি ছোট ভালোবাসার ছলনাময় গল্পের কাহিনী।প্রিয় পাঠক বন্ধু মহোদয় এই কাল্পনিক গল্পের সবকিছুই কল্পনায় সাজানো হয়েছে তবুও আমাদের সমাজে অহরহ ঘটে যাচ্ছে আমার গল্পের ঘটনার কথামালা।আমি ছোট কাল্পনিক গল্পের নাম ভুমিকায় যে সকল লোকদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের সকলের নামই কাল্পনিক ভাবে লেখা হয়েছে।তবুও অনেকের নামের সাথে অথবা গল্পের কাহিনীর সাথে হয়তোবা মিলে যেতে পারে আমার গল্পের কথা।তাই আমি প্রিয় পাঠকদের কাছে শুরুতে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যে আপনারা সকলেই আমাকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।হয়তোবা কোনো ভুল ক্রটি লেখা দেখতে পেয়ে আপনারা আমাকে বকাবকি করতে পারেন তাই আমি এসব কথা ভেবেই সকলের নিকটবর্তী ক্ষমা চাইছি।আপনারা আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।=প্রেমের অভিনয় !জীবন সাজে ছলনায় !
অবশেষে স্থান হয় পতিতালয়ে ;
নয়তোবা বিদেশে হয় পাচার।=রং নাম্বারে কল করতে, করতে অবশেষে একজন সহজ সরল মেয়েকে কিভাবে প্রেমের ফাদে ফেলতে পারে সেই রূপ রেখা তুলে ধরতে আমার লেখা ছোট কাল্পনিক ভালোবাসার গল্প।সত্যিই অদ্ভুত আমাদের মানব জীবন।কতনা রূপে রূপান্তরিত হয়ে থাকি আমরা।আর এর শেষ কাহিনী কতটা বেমানান ও নিকৃষ্ট তা আপনারা পুরো গল্পটি না পড়ে হয়তোবা বুঝতে পারবেন না।আমাদের মোবাইলে অনেক সময় রং নাম্বার থেকে কল আসে, হয়তোবা আমরা প্রথমে সেই অচেনা নাম্বার থেকে কল আশা ফোন সহজে রিসিভ করিনা।তবে একদিন, দু,দিন,তিন দিন এভাবে যদি প্রায়দিন অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসতে থাকে তাহলে হয়তোবা এক দিন সেই ফোন আমরা রিসিভ করে থাকি।ঠিক তদ্রুপ ভাবে আমার কাল্পনিক গল্পটি লেখা হয়েছে।
তুমি আসতে এতোটা দেরি করলে যে,সুমন:-এই সুমন হলো গল্পের কাল্পনিক নাম, যার মূল ভুমিকা ছিলো গল্পের মাঝে সুমধ ছিলো গল্পের ভন্ড নায়ক।
সুমি:সুমি হলো গল্পের কাল্পনিক নাম,সুমি গল্পের নাম ভুমিকায় নায়িকার অভিনয় দেওয়া হয়েছে।
সুমি:একটু কাজ ছিলো।
সুমন:ও,আচ্ছা বলো তুমি কি খাবে?
না,কিছুনা!সুমি:আমি বাসা থেকে খেয়ে এসেছি।
এই দুজনের মধ্যে রং নাম্বারে পরিচয়, অবশেষে প্রেম।তাদের দুজনের মধ্যে আজকের দিন নিয়ে মোট ছয়বার দেখা হয়েছে।এর আগে বেশিরভাগ সময়ে দুজনের মধ্যে ফোনে বেশি কথা হতো।
সুমন:সুমন ছিলো পাক্কা অভিনেতা, সে মুখের কথায় অনেক সুন্দরী মেয়েদের প্রেমের ফাদে ফেলতে পারেন।সহজেই কোনো মেয়ে সুমনের বিষয়ে জানতে পারেনা।
সুমন:তোমার চোখে যেনো আমার ছবি দেখতে পাই,সুমি।
সুমি:আমি কি খুবই সুন্দরী?সুমন
সুমন:তুমি যেনো ঐ দূর আকাশের উজ্জ্বল তারকার মতোই, তুমি যেনো ভোরের কুয়াশার শিশির ভেজা ঘাসের ডগায় টলমল করা মুক্তোর মতোই, তোমার চোখ দুটি যেনো হরিণের চোখের মতোই।সত্যিই তুমি যেনো আমার কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দরী।
সুমি:ও ,আমি বুঝতে পেরেছি,তুমি মিথ্যা বলছো,শুধুমাত্র আমাকে বিয়ে করার জন্য।তাইনা সুমন?
সুমন:এসব কি বলছো তুমি সুমি?
সুমি:ঠিকই বলছি।কেননা বর্তমানে তোমাদের মতো ছেলেরা আমাদের মতো সহজ সরল মেয়েদের প্রেমের ফাদে ফেলে তাদের ইচ্ছা পূরণ করে আমাদের ফেলে যায় ঠিক রাস্তায় রেখে দেওয়া ময়লার ডাস্টবিনের মতোই।
সুমন:তুমি আমাকে ছোট করছো সুমি।
তুমি যদি আমাকে বিশ্বাস না করে থাকো তাহলে চলো আমরা আজই বিয়ে করে ফেলি।
সুমি:সুমনের মুখ থেকে এই ধরণের কথা শুনতে পেয়ে সুমি,পুরোপুরি ভাবে সুমনকে বিশ্বাস করে ফেললো।এবং সুমি নিজ থেকেই সুমনকে বললো।শোনো সুমন, আমি তোমাকে পরীক্ষা করেছি,আর সেই পরীক্ষায় তুমি একশত নাম্বারের মধ্যে পুরোপুরি ভাবে একশত নাম্বার পেয়ে ভালো ভাবে পরীক্ষায় পাশ করেছো।
আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি সুমন।
সত্যিই আমি যেনো এই পৃথিবীতে তোমাকে ছাড়া একটি মূহুর্তের জন্য বেচেঁ থাকতে পারবোনা।
সুমন, তুমি আমাকে কখনও ছেড়ে যাবেনাতো?
সুমন:মনে মনে বলতে থাকে, আমি তোমাকে আজই ছেড়ে যাবো লক্ষী।কেননা এভাবেই আমার প্রেমকাহিনী চলে আসছে অনেক বছর থেকেই, আর তোমার মতো সুমি কতজন আহলো আর গেলো পতিতালয়ে, ও বিদেশে।যাদের খোঁজ আজও কেউ জানতে পারেনি।আর তুমি সে তো বাচ্চা মেয়ে !
সুমন এসব কথা মনে মনে ভেবে, হঠাৎই বলে উঠলো।
এভাবে বলছো কেনো সুমি?
তোমার এই কথা শুনে আমার দুচোখে পানি চলে এলো,দেখোনা চেয়ে আমার চোখের পানে।
আমি যদি তোমাকে ছেড়ে চলে যাই,তবে সেই চলে যাওয়া যেনো আমার জীবনের শেষ যাওয়া হয় সুমি।
সুমি:সুমনের মুখটি চেপে ধরে বললো না সুমন তুমি ওভাবে বলোনা।আমি যে কিছুতেই তোমাকে ছাড়া বাচতে পারবোনা।একথা বলেই সুমি তার মাথা সুমনের বুকের মাঝে রাখলো।
সুমি:সুমন তুমি সাড়াটি বছর এভাবেই তোমার বুকের গভীরে আমাকে লুকিয়ে রেখো।
কখনও আমাকে ছেড়ে যেওনা?
যাবে বলো?তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে বলোনা সুমন?
সুমন:অভিনয়ের ভঙ্গিতে বলতে থাকে।না সুমি,আমি কোনদিন তোমাকে ছেড়ে যেতে পারবোনা।
এইতো লক্ষী আর কটা দিন,তার পরই তোমাকে বউ করে নিয়ে যাবো আমার ঘরেতে।কি খূশীতো এবার?যাবেনা আমার ঘরে বউ হয়ে?
সুমি:লজ্জায় মাথা যেনো আরো জোরে চাপদিয়ে ধরে রাখলো সুমনের বুকের মধ্যে।
সুমন:ওহ্ তোমাকে তো একটি কথা বলা হয়নি সুমি।
সুমি:কি কথা? বলোনা সুমন? আমার যে আর অপেক্ষা সইতে চাইছেনা।বলোনা সুমন?তাড়াতাড়ি বলো?
সুমন:চলো তোমাকে আজ আমি নতুন এক যায়গায় নিয়ে যাবো তোমাকে সারপ্রাইজ দিবো।
সুমি:- সত্যি সুমন তুমি আমাকে সারপ্রাইজ দিবে?
তাহলে চলো যাই।কোথায় নিয়ে যাবে আমাকে?
তুমি যেখানেই আমাকে নিয়ে যাবে আমি সেখানেই যাবো তোমার সাথে।
সুমন:ঠিক আছে চলো।
সুমন:রিস্কা যাবে চলোতো ভাই মতিঝিল।
দুজনে রিস্কায় বসে মতিঝিল রওয়ানা হলো।
কিছু ক্ষণের মধ্যে মতিঝিল গিয়ে পৌছালো দুজনে।
রিস্কা থেকে নেমে হাটতে শুরু করলো একটি সরু গলি দিয়ে।কিছু দূর যাওয়ার পরে সুমন বললো ঐ যে আমার অফিস।তৃতীয় তলা বিল্ডিং পুরোটা।
সুমি: সুমন কই তুমি তো কখনও আমাকে বলোনি?
সুমন:এমনিতেই বলিনি পাগলি।
যদি বলে ফেলতাম তাহলে, সেটা সেটা কখনও সারপ্রাইজ হতোনা।
সুমি: ও আচ্ছা ঠিক আছে।তাহলে চলো যাওয়া যাক।
সুমন;₹:-চলো
অফিসে ঢুকতেই সুমি দেখতে পেলো তার মতো আরো মেয়ে আছে ঐ সুমনের অফিসে।
দেখতে একটু আন্য রকমের।
জিনসের প্যান্ট,ও হাতা কাটা টি শার্ট পরা তাদের প্রায় মেয়েদের পরনে।
হাটতে হাটতে যখনই একটু সামনে এগুলো তখনই একজন বলে উঠলো।
কি ব্যাপার ভাই হুবু ভাবি বুঝি?তবে সুমন ভাই মিষ্টি কিন্তু খাওয়াতে হবেই।তানাহলে আমরা আপনার সাথে খুবই রাগ করবো।
সুমন:-না,বাদল ভাই কি যে বলেন?
আমি আপনাদের আজই মিষ্টি খাওয়াবো।
বাদল:-সত্যি বলছেন সুমন ভাই?
সুমন:-শুধু সত্যি নয়।আজকে আপনাকে আমি নিজে মিষ্টির দোকানে নিয়ে গিয়ে
পেট ভরে মিষ্টি খাওয়াবো।
কথা বলতে বলতে সুমন ও সুমি গিয়ে একটি রূমে প্রবেশ করলো সঙ্গে বাদল সাহেব গিয়ে ঢুকে পড়লো।
সুমন:-সুমি আজকে আমি আমার অফিস কলিকদের সাথে তোমার পরিচয় করিয়ে দিবো।
এই হলো রন্তা, ও বেশ কয়েক বছর থেকে এই অফিসে কাজ করে আসছে।
আর এই হলো নিশি ও নতুন তবুও এক বছর হলো ওর চাকুরীর বয়স।
সুমি ওদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিতে লাগলো।
তখনই মনে মনে সুমন, বলতে লাগলো,হায়রে প্রেম,হায়রে ভালোবাসা।আজই এই প্রেম ভালোবাসা শেষ হবে।মনে মনে হাসতে লাগলো সুমন।
সুমন:-সুমি তুমি একটু বসে ওদের সঙ্গে আড্ডা দিতে থাকো।আমি বাদল ভাইকে পেট ভরিয়ে মিষ্টি খাইয়ে নিয়ে আসি।
সুমি:-ঠিক আছে তুমি মাও।তবে একটু তাড়াতাড়ি এসো সন্ধ্যা হয়ে আসলো।
সুমন:-তুমি চিন্তা করোনা।আমি যাবো আর আসবো।
এই বলে সুমন ও বাদল সাহেব বেড়িয়ে পড়লো।
রাস্তায় গিয়ে বাদল সাহেব বললো,সুমন ভাই আপনি চলে যান একটি সিএনজি নিয়ে।আর এই নিন পাচ লক্ষ্য টাকার চেক।আপনি যাওয়ার পথে ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে চলে যান।আর শুনুন সবসময়ের মতো আপনি আপনার সিম পরিবর্তন করে ফেলুন।আমি দূখছি কিভাবে ওকে দিয়ে কাজ শুরু করা যায়।তবে বেশ সুন্দরী ওনেক লাভ হবে আমাদের।কেননা ওর মতো কাচা বয়সের মেয়েদের চাহিদা অনেক বেশি থাকে।এখানে ভালো একটি আবাসিক হোটেলে ওকে বিক্রি করে দিবো নয়তোবা বিদেশে পাচার করে দিয়ে পঞ্চাশ লক্ষ্য টাকা কামিয়ে নিবো।
সুমন:ঠিক বলেছেন বাদল ভাই।তবে ওকে খসাতে অনেক কষ্ট হয়েছে প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস সময় ব্যয় হয়েছে আমার।
গুডবাই সুমি।এই হলো আমার প্রেমকাহিনী।
হা হা হা ।এভাবেই অট্টহাসিতে সুমন ও বাদল হাসতে হাসতে পাগলের মতো হয়ে গেলো।
লেখকের কিছু কথামালা:-
**********************
এই হলো আমার কাল্পনিক ছোট শিক্ষণীয় একটি গল্পের কথামালা।প্রিয় পাঠক আমি চেষ্টা করেছি এই সমাজে প্রেম ভালোবাসা নিয়ে এভাবেই ঘটে থাকে নানা ধরণের অসামাজিক কার্যকলাপ।সুন্দরী মেয়েদের ফোন নাম্বার নানা কৌশলে সংগ্ৰহ করে তাদের নাম্বারে কল দিতে থাকে, আর যখনই দূর থেকে সুন্দরী মেয়েদের কন্ঠস্বর শুনতে পায়।ঠিক তখন থেকেই চেষ্টা চলে প্রেমের ফাদে ফেলতে সুন্দরী মেয়েদেরকে।আর যখনই ফাদে পরে যায়, তখনই তাদের জীবন নিভে যায় কালবৈশাখী ঝড়ে।কেউ হয়ে যায় পতিতালয়ের দেহ ব্যাবসাহী আবার কেউ হয়ে যায় পাচার বিদেশে।আমি জানিনা কতটুকু পেযরেছি এই সমাজের রূপ রেখা তুলে ধরতে !তবে আমার এই লেখার মাধ্যমে কিছুটা হলেও সমাজের রূপ রেখা পরিবর্তন হবে এবং মেয়েরা কিছুটা হলেও সর্তকতা অবলম্বন করে তাদের জীবন সাজাতে পারবে সৎ ও নিষ্ঠাবান পুরুষের সাথে ভালোবাসা গড়ে তুলতে।সুখী হবে তখনই আমাদের সমাজের সুন্দরী ও লাজুক লজ্জাবতী মেয়েরা।এই কামনা করে আমি আমার সামান্য কাল্পনিক ভালোবাসার গল্পের সমাপ্তি টানবো।ধন্যবাদ জানাই সকল ভাই,বোন,বন্ধু ও আমার প্রিয় পাঠকদেরকে।
লেখক সাংবাদিক
মো:ফিরোজ খান
জেলা, ঢাকা, বাংলাদেশ
Discussion about this post