৭১ বাংলাদেশ ডেস্কঃশনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সিপিবি-বাসদ-বামমোর্চার ব্যানারে সমাবেশে অংশ নেয় গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলন।
কমিউনিস্ট পার্টির অভিনু কিবরিয়া ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বামমোর্চার বিপ্লবী বলয় কমরেড সুভ্রাংশু চক্রবর্তী।
সভাপতির বক্তব্যে কমরেড সুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, “ফিলিস্তিনিরা সত্তর বছর ধরে নিজের ভূমিতে পরবাসী। মধ্যপ্রাচ্যে একটি স্থায়ী ক্ষমতা বসিয়ে, সেখানকার মানুষকে জিম্মি করতে চায় আমেরিকানরা। তারা নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করছে।”
তিনি আরো বলেন, “গোটা পৃথিবীতে সম্রাজ্যবাদীরা এবং পুঁজিবাদীরা যখন তার দেশে বসবাসকারী একটি নির্দিষ্ট অংশকে তাদের অধিকার দিতে চাচ্ছে না, তখনি একজনকে অন্য জনের সাথে যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়ে নিজেদের লাভ খুঁজছে। আমরা এই বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানাই।”
সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে মনির হোসেন পাপ্পু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি’র পক্ষে মোসরেফা মিসু এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মোসরেফা মিসু তার বক্তব্যে বলেন, “আমাদের জন্মের আগে থেকে ফিলিস্তিনিরা বঞ্চিত। তাদের ওপর বারবার আক্রমণ করা হচ্ছে। গণহত্যা চালানো হচ্ছে। একমাত্র আমেরিকার পক্ষেই এ ধরনের কাজ করা সম্ভব। তারা মানবজাতির এমন রক্ত, যার সাথে বিশুদ্ধ রক্তের মিল নেই।”
বাংলাদেশ সরকারের সাহসিকতার প্রশ্ন তুলে কমিউনিস্ট পার্টির অভিনু কিবরিয়া ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছে, তারা এক তরফা সরকার। তাদের সাহস নেই, তারা আমেরিকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।’
ফিলিস্তিনে মার্কিন দূতাবাস স্থাপনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণে ফিলিস্তিদের ওপর আক্রমণ চালায় মার্কিনিরা। গত ১৪ মে চালানো আক্রমণে শিশুসহ নিহত হয় প্রায় ষাট জন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে ঘটনাটিকে নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। নিন্দা জানিয়েছে আমেরিকান সুশীল সমাজের একাংশ।