তপু রায়হান রাব্বী,জেলা প্রতিনিধিঃ হাসপাতালের ভর্তি উমর ফারুক। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ১২ নং স্বদেশী ইউনিয়নের নাশুল্ল্যা কান্দাপাড়া গ্রামের মোঃ মোস্তুফা কামালের ছেলে মোঃ ওমর ফারুক (১২) বেত্রাঘাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে ছটপট করছে। মোস্তুফার তার দুছেলে এক মেয়ে, অনেক আশা ছিল বড় ছেলে ওমর ফারুকে হাফেজ বানাবে। সে কারণে ফুলপুর উপজেলার রূপসী ইউনিয়নের বাশাটী মদিনাতুল উলুম মার্দ্রাসায় হিফজ বিভাগের ভর্তি করেন ওমর ফারুকে। কিন্তু গত ৩ই এপ্রিল রোজ মঙ্গলবার সকাল অনুঃ ৯:০০ টায় ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক তাকে বেত্রাঘাতে ঝরঝরিত করে ফেনেন। সঠিক ভাবে পড়া না বলার কারণে। পরে তাকে বালিয়া মাদ্রারসায় চিকিৎসা করতে থাকেন বলে জানান তার দাদা মোঃ নুরিসলাম শেখ। কিন্তু ঐ প্রতিষ্ঠানের কেউ তার বাবাকে কিছু বলেননি বা খবরা খবর দেননি। পরে ৫ই এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার সকাল অনুঃ ৭টার সময় লোক মারফত সংবাদ পায় তার ছেলে অসুস্থ্য। সংবাদ পাওয়ার পরপর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে হিফজ বিভাগের ছাত্রদের নিকট হইতে ও স্থানীয় লোকজনের নিকট জানতে পারে তার সন্তান ওমর ফারুকে হেফাজতে পরির্চ্চার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তাকে বেত্রাঘাতে শরীলের বিভিন্নস্থানে ফুলা ও জখম করেদেয় এবং কিছু কিছু স্থান থেকে রক্তও বের হয়। পরে তার পিতা হালুয়াঘাট উপজেলা কর্মপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উক্ত হাসপাত থেকে কতর্ব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অঞ্জান অবস্থায় ভর্তি করেন গত ৭ই এপ্রিল রোজ শনিবার রাত ১২ঃ৪৫ মিঃ। নতুন বিল্ডিং ৫ তলা, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড (মেডিসিন) এ বারান্ধায় রয়েছে আজ ৮ই এপ্রিল রোজ রোববার গিয়ে দেখি। পরে মামলা নেবার জন্য হালুয়াঘাট থানায় গেলে অফিসার ইনচার্জ সাহেবকে এ ঘটনা যানালে তিনি বলেন ঘটনাটি ফুলপুর থানায় ঘটেছে তাই ফুলপুর থানায় মামলা করতে হবে । পরে মোস্তুফা কামাল ফুলপুর থানায় মামলা করেন।