স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। সারাদেশে ১২ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে। সেখানে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৩২ প্রকারের ঔষুধ বিনামূল্যে দান করা হচ্ছে। যা এসডিজির অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
শনিবার হবিগঞ্জের বাহুবলে পুটিজুরী ইউনিয়নের হিলালপুর কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন ও উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ সদস্যদের জন্য এসডিজি সংক্রান্ত একটি কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিতে তিনি বাহুবলে পৌঁছান। শনিবার আকস্মিকভাবে তিনি হিলালপুর কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন ও উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আগে স্বাস্থ্যসেবা নিতে জনগণকে বিশেষ করে নারী ও শিশুদের দূরবর্তী হাসপাতালে যেতে হতো। কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের ফলে নারী ও শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যসেব গ্রহণ সহজ হয়েছে। ফলশ্রুতিতে দেশে স্বাস্থ্য খাতে এসেছে আমূল পরিবর্তন, কমেছে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন যার সুফল এখন প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ উপভোগ করছে। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে জনসাধারন শহরের ডাক্তারের পরামর্শ নিচ্ছে।’
এসময় একজন নারী উপকারভোগী মোবাইল ফোন ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসেবা নেওয়ার অভিজ্ঞতার কথা স্পিকারকে জানান। এসময় স্পিকার স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে উপকারভোগীদের সঙ্গে উঠান বৈঠক ও মা সমাবেশ আয়োজনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরতদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাউল্লেখ করেন।
স্পিকার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (গণসংযোগ) মো. তারিক মাহমুদ জানান, এসময় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, সাংসদ মো: আবু জাহির, সাংসদ মো: আব্দুল মুনিম চৌধুরী, সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post