বিশেষ প্রতিনিধিঃচট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার আওতাধীন আগ্রাবাদ মৌলভীপাড়া এলাকায় সন্ত্রাস ও পুলিশের অনৈতিক তান্ডবে আতঙ্কে বিরাজ করছে স্হানীয় এলাকাবাসি ।পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযানের নামে হয়রানি করছে দাবি স্হানীয় বাসিন্দাদের ।
রবিবার রাত ৮ টার দিকে একদল সন্ত্রাসী এলাকায় ঢুকে বেপরোয়া হামলা চালিয়ে দোকানপাট ভাংচুর সহ লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে । এরপর পুলিশ এলাকায় এসে সন্ত্রাসীদের সহযোগীতা করে আরো তান্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নিরহ স্হানীয় বাসিন্দারা ।
এলাকাসুত্রে জানা গেছে, মসজিদে তারাবী নামাজ চলাকালে সন্ত্রাসীরা মসজিদে পাথর নিক্ষেপ করে। এসময় তারাবীর নামাজ সাময়িক বন্ধ ছিল। পরে এলাকায় বেপক উত্তেজনার সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার নামে এলাকাবাসীর উপর চওড়া হয়। এ সময় পুলিশ এলাকাবাসীর বিভিন্ন ঘরে ঢুকে মহিলাদের উপর হামলা চালিয়ে বাসা থেকে পুরুষদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে ড়বলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিউদ্দিন সেলিমের সাথে কথা বলা হলে,তিনি আমাদের জানান, এলাকায় দু-গ্রুপের সংঘর্ষ হলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য ১০/১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে এবং মহিলাদের গায়ে হাত দেয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন।পুলিশের এই তান্ডব দেখে শত শত ছোট, বড় স্হানীয় এলাকাবাসি ঘর থেকে বেরিয়ে পুলিশের প্রতি বিক্ষোভ প্রকাশ করেন ।প্রথম অবস্তায় ১০/১৫ জন নিরহ মানুষকে গ্রেফতার করে নিয়েগেলে ও সচেতন এলাকাবাসির চাপের মুখে নিরহ সবাইকে রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ,অবশেষে এলাকায় ফিরে আসে স্বস্তির নিশ্বাস ।আরো জানাগেছে সন্ত্রাস ও মাদক বিক্রেতাদের হামলার শিকার নগরীর মৌলভীপাড়ার এলাকাবাসি ।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ রাতের আধারে মহিলা পুলিশের পরিবর্তে পুরুষ পুলিশ ঘরে ঢুকে মহিলাদের গায়ে হাত দেয়া সম্পুর্ন অনৈতিক ও বেআইনি। তারা এর বিচার দাবী জানাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশ (সি এম পি)কমিশনার মহোদয়ের নিকট এবং স্হানীয় এলাকাবাসি মনে করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশ (সি এম পি) কমিশনার মহোদয়ের হস্তক্ষেপ জরুরী ।