বৃষ্টি ও পাহাড়ি পানির ঢল চলমান থাকায় সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।মঙ্গলবার প্লাবিত এলাকার পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টি ও পাহাড়ি পানির ঢল চলমান থাকায় সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
নগরীর ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর পানি ইতোমধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। নদীর পানি উপচে সোমবার থেকেই তলিয়ে যেতে শুরু করেছে নগরের বিভিন্ন এলাকা। মঙ্গলবার প্লাবিত এলাকার পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাই বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবারের সংকটে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বন্যাকবলিত এলাকার বস্তি ও কলোনির মানুষজন। এই বস্তি ও কলোনির প্রায় ৪০জন মানুষের মাঝে শুখনো খাবার খাবার বিতরণ করেছেন সমাজসেবক চৌধুরী জান্নাত রাখি।
গত মঙ্গলবার নগরীর কাজিরবাজার ও কানিশাইল এলাকার বস্তি ও কলোনির বাসিন্দাদের মাঝে শুখনো খাবার বিতরণ করেন তিনি। এই খাবার বিতরনে তাকে সহযোগিতা করেন পরিবেশ কর্মী শাহ সিকান্দর শাকির ও অনিক পাল। শুখনো খাবারে মধ্যে ছিল চিড়া, কলা ও বিস্কুট। প্রতিটি পরিবারকে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী এসব বিতরণ করা হয়েছে।
সমাজসেবক চৌধুরী জান্নাত রাখি বলেন, সিলেট নগরী বন্যাকবলিত। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করে আছেন বস্তি ও কলোনির মানুষজন। কলোনিগুলোতে গিয়ে দেখলাম মানুষজন কোথাও হাটু পানি, কোথাও কোমর পানিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা। বিশেষ করে রান্না করার সুযোগ না থাকায় খাবার সংকটে আছেন এই মানুষজন।
তাই তাৎক্ষনিক ভাবে তাদের কিছু শুখনো খাবার দিয়ে সাহায্য করেছি। আগামিতে এই মানুষদের জন্য রান্না করা খাবার বিতরণ করবো।
উল্লেখ্য,এর আগে বিভিন্ন সময় সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের খুজে বের করে খাবার বিতরন করেছেন সমাজসেবক চৌধুরী জান্নাত রাখি।
করোনাকালে ও ঈদে বিভিন্ন বস্তিতে চাল ডালসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরন করেছেন তিনি ।