বিশেষ প্রতিবেদকঃসম্প্রতি আল-কায়েদা ও আইএসের কর্ম তৎপরতা বেশ লক্ষণীয়।
যারা গত পাঁচ জানুয়ারি পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে সংখ্যালঘু ১১ জন শিয়া মুসলিমকে হত্যা করেছে-(প্রথম আলো:৫.১.২১)।
মূলত আল-কায়েদা,আইএস ও তালেবান সম্প্রদায় এক পথের পথিক।
যারা সময়ের সাথে সাথে নিজেদের নাম ও রূপ পরিবর্তন করে চলেছে।যদিওবা এরা নিজেদের ইসলামপন্থী বলে দাবি করছে।তবে,ইসলামি মৌলিক দর্শন থেকে তাদের অবস্থান দূরে রয়েছে। আল-কায়েদা,আইএস ও তালেবানের উদ্ভব এবং বিকাশিত হওয়ার সাথে কাশ্মীর, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাম বিশেষভাবে জড়িত।এদের অধিকাংশ কার্যক্রম কাশ্মীর থেকে পরিচালিত হয়ে থাকে।এসব এলাকার বিভিন্ন মসজিদ,মাদ্রাসা,আলেম,ওলামা ও জিহাদি দলের সাথে এদের রয়েছে গভীর যোগসূত্র ।
আব্দুল আজিজ ও ঈসা তাদের মধ্যে অন্যতম।মাদ্রাসার মধ্যে রয়েছে,”জামিয়া হাফসা ও জামিয়া ফরিদিয়া”।উভয় প্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংখ্যা ৭ হাজার।এসব মাদ্রাসা ও মসজিদ থেকে ইসলামি হুকুমতের নিমিত্তে ছাত্রদের জিহাদ করার উৎসাহ দিয়ে থাকে।
আল-কায়েদার স্ট্র্যাটেজিক ময়দান হিসেবে পাকিস্তানের “লাল মসজিদ” বেশ পরিচিত।এই মসজিদ থেকে আইএসের হেডকোর্টারের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার।আর সেখান থেকে পরিচালিত হত জঙ্গিগোষ্ঠী যাবতীয় কর্মপ্রণালী। প্রথমদিকে, এসব গোষ্ঠী আফগানিস্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে।যার ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের যুদ্ধের সূচনা হয়।পরে,গণতন্ত্রের বদলে নিজেদের হুকুমত প্রতিষ্ঠা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে।
যার ফলে, ইবনে তাইমিয়্যার মতাবাদকে অনুপ্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং সে অনুসারে কাজ করতে থাকে।তবে,বর্তমানে তারা খারেজিদের তিনটি(ক.মুসলিমদের মুরতাদ আখ্যায়িত করা,খ.সশস্ত্র বিপ্লব করে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন করা,গ.মুসলিম হত্যার বৈধতা-:জিহাদের মূলনীতি:সালিহ আল ফাওযান) মতবাদবে সামনে রেখে কাজ করছে এবং সে অনুসারে সারাবিশ্বে তাদের মিশন পরিচালিত হচ্ছে।
অতিসম্প্রতি মার্কিন পররাস্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন,”বাংলাদেশে আল-কায়েদার ঘাঁটি রয়েছে”-(আমাদের নতুন সময়-১৪.১.২০)।যদিও বাংলাদেশ সরকার একে ভিত্তিহীন মন্তব্য ও মিথ্যাচার বলেছে।
তবে,বাংলাদেশে একটি মহল জিহাদের নামে জঙ্গিবাদকে উস্কে দিয়ে ব্যাক্তিগত ফায়দা নিতে বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে।
Discussion about this post