জনতার কলামঃপাঁচশ বছরের ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও উপাসনালয় ভেঙে সেই জমিতে এক রাজনৈতিক রামমন্দির নির্মাণের মতো পাপাচারের বিরোধিতা করুন পাবলিক ডোমেনে। আপনি হিন্দু ঘরে জন্মেছেন যদি, তবে আপনার দায় আরো বেশি কারণ এই পাপ হচ্ছে আপনার নামে।
বিরোধিতা না করার মানে, আপনার তিন পুরুষের ভিটে কোনোদিন যদি বেহাত হয়, তাকেও ঘুরিয়ে ন্যায্যতা দেওয়া। পাঁচশ বছরের পুরনো স্থাপত্য কোনো বানানো বয়ানের ভিত্তিতে মিথ্যে হয়ে যেতে পারে না।
এই যুক্তি মেনে নিলে আপনার ভিটের দাবি আপনার থাকে না, গ্যারান্টি। এএসআই কোন প্রমাণ দিতে পারেনি মন্দিরের। সুপ্রিমকোর্ট নিজেও তাই বলেছে। এই রায় অন্যায়ের পথে গেছে। সত্যিটা সত্যিই। সুপ্রিমকোর্টের
প্রাক্তন বিচারপতিরাই বলেছেন এই রায় বিভ্রান্তিমূলক এবং ইনজাস্টিস। অনেকেই বলছেন এই মসজিদ ভেঙ্গে হাসপাতাল তৈরী করা হোক।আমি এই দাবির বিপক্ষে, একটা প্রাচীন স্থাপত্য ভেঙ্গে হাসপাতাল করার কোনো মানে হয়না।
হাসপাতালের জন্য ভারতবর্ষে জায়গার অভাব হবেনা,এই পুরনো স্থাপত্য ভাঙলে সেটা আর পাওয়া যাবেনা। “হায়া সোফিয়া” বলে তুরস্কে এক সুবিশাল মিউজিয়াম আছে। ১৪৫৩ সাল প’র্যন্ত এটি একটি খ্রিস্টান চার্চ ছিল। তারপর মুসলমান তুর্কদের ইস্তানবুল দখলের পর এটিকে মসজিদে পরিণত করা হয়। ১৯২৩ সালে অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর তুরস্কে প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হলে খ্রিস্টানরা তাদের চার্চ ফেরত চায়।
অন্যদিকে প্রায় ৫০০ বছর সুবিশাল স্থাপত্যটি তে মুসলমানরা বলে তারা এটিকে মসজিদ করে রাখবেই। কামাল আতাতুর্কের প্রজাতান্ত্রিক সরকার কারো কথা না শুনে ইস্তানবুলের এই সুমহান ঐতিহাসিক স্থাপত্যটি কে মিউজিয়ামে পরিণত করে, দেশের মিশ্র ঐ’তিহ্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে। আমি মনে করি এখানেও তাই করা উচিত।