মোঃ ফয়সাল এলাহীঃ আতহামের বাবা নৃশংসভাবে খুন হয়েছে। সেই খুনিদের বিচার দাবিতে রাজপথে এসেছিল শিশুটি। শোকাহত শিশুটি কখনো মায়ের কোলে। কখনো বিচার দাবিতে ডিজিটাল ব্যানার হাতে রাজপথে। তার ডাগর ডাগর চোখের আকুতি বলছিল, ‘আমার বাবাকে ফিরিয়ে দাও।’শুধু ছেলে নয়, বিচার দাবিতে এসেছিলেন যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন মহিদের স্ত্রী মোসাম্মৎ পিংকি, বোন মোসাম্মৎ হীরা এবং চাচা মেহের আফজল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ আলী মঈনু। সোমবার (২ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে হাজারো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত মানববন্ধনে এসেছিলেন মহিদের পরিবারের সদস্যরাও। গত ২৬ মার্চ হালিশহর মেহের আফজল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে দিনেদুপুরে খুন হয়েছিলেন মহিদ। মোসাম্মৎ পিংকির বাকরুদ্ধ কণ্ঠে একটি কথাই ছিল ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমার স্বামীর খুনিদের গ্রেফতার করুন। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। যেন আর কোনো স্ত্রী স্বামীহারা না হয়। আর কোনো সন্তান যেন এতিম না হয়।’ মানববন্ধনে একাত্মতা জানিয়ে বক্তব্য দেন বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম, সাবেক চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুল ইসলাম, হালিশহর মেহের আফজল উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এম হাসান মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল ইসলাম, মহানগর যুবলীগের সদস্য শেখ নাছির আহমেদ ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি। সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মুন্নার সঞ্চালনায় খুনিদের বিচার দাবি করে বক্তব্য দেন মো. সালামত আলী, নারীনেত্রী গুলনাহার, রুবি আকতার ও শারমিন আকতার। মো. নুরুল আলম বলেন, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধানশিক্ষকের কক্ষে যুবক মহিউদ্দিন মহিদকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মমভাবে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী বাহিনী ।