৭১ বাংলাদেশ ডেস্কঃচট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রের সামনে পূর্বঘোষিত কর্মসূচিসহ ৩০ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দলীয় সব কর্মসূচি স্থগিত করেছে বিএনপি। ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের সামনে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছিল দলটি। একইসঙ্গে ২৬ মার্চ চট্টগ্রামে স্বাধীনতা দিবসের শোভাযাত্রার কর্মসূচিও স্থগিত করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে জাতীয়ভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দলীয় সব কর্মসূচি স্থগিত করায় চট্টগ্রামেও স্থানীয়ভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিএনপির নেতারা।
সূত্র জানায় কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রের সামনে কর্মসূচির ঘোষণা দিলেও বিএনপি নগর পুলিশের কোনো অনুমতি নেয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো চিঠিও বিএনপির পক্ষ থেকে পুলিশকে দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি পুলিশের পক্ষ থেকে নগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রের সামনে বিএনপিকে কোনো কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপি ২৭ মার্চ বিকেলে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে সমাবেশের ডাক দিলে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিক্রিয়া হয়। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা রুখে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে একই দিন একই সময়ে বেতারকেন্দ্রের পাশে স্বাধীনতা পার্কের সামনে ছাত্র সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
এদিকে সরকারকেও সব কর্মসূচি স্থগিত করে করোনার দিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৪ মার্চ) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও উপস্থিত ছিলেন।
এসময় খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিপজ্জনক অবস্থায় উপনীত হয়েছে। সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধিতে জনমনে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিএনপির গৃহীত সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি ৩০ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করা হলো। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
খন্দকার মোশাররফ জানান, বিএনপির কর্মসূচির মধ্যে ২৫ মার্চ আলোচনা সভা, ২৬ মার্চ সুবর্ণজয়ন্তীর শোভাযাত্রা ও ৩০ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সুবর্ণজয়ন্তীর সমাবেশ ছিল। এ সব কর্মসূচির কোনোটিরই তাঁরা অনুমতি পাননি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা মনে করছি, এই মুহূর্তে সমাবেশ বন্ধ করা দরকার। যে কারণে আমরা সব স্থগিত করছি। দেশবাসী এবং নেতা-কর্মীদের প্রতি একটাই অনুরোধ থাকবে, সবাই মাস্ক পরবেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। অতিরিক্ত ভিড়ে গিয়ে নিজেকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন না। সরকারের উচিত হবে অবিলম্বে সমস্ত কর্মসূচি স্থগিত করে করোনার দিকে দৃষ্টি দেওয়া এবং করোনার সংক্রমণ যেন কমে, তার ব্যবস্থা করা।
সংবাদ সম্মেলনে সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্যসচিব আবদুস সালাম ও দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। ফাইল ফটো