মহিনুল ইসলাম সুজনঃনীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের নিকটতম ভারতীয় ভুজারীপাড়া সীমান্তে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত দুই সন্তানের জনক বাংলাদেশি খলিল উর রহমান খলিল (৩৫)এর লাশের জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশে পুনরায় ময়না তদন্ত শেষে পারিবারিক কবর স্থানে তার লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে গত বুধবার রাত পৌনে নয়টার সময় বাংলাদেশ ভারতের ৭৯৩ নম্বর সীমান্তের পিলার এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিহত খলিলের লাশ বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হয়। নিহত খলিল উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের খালপাড়া গ্রামের মৃত, মকছেদ আলীর ছেলে।
খলিলের লাশ দেশে আসার পর ডিমলা থানা পুলিশ তা জেলা মর্গে পুনরায় ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন ।
বাংলাদেশে খলিলের লাশ ফেরত দেয়ার সময় ভারতের কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি থানার ওসি প্রবীন প্রধান ও বাংলাদেশের ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ, কোচবিহার ১৪৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ভুজারীপাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার আশিষ সিং, রংপুর-৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বালাপাড়া কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মোবারক আলী, ঠাকুরগঞ্জ বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার নাজির উদ্দিন ও পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক সরকার উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার ভোর রাতে বাংলাদেশের ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ঠাকুরগঞ্জ সংলগ্ন ভারতের ভুজারীপাড়া সীমান্তের ৭৯১ নম্বর পিলারের ভিতরে খলিল অবৈধ ভাবে প্রবেশ করলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে সে গুলি বৃদ্দ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন । পরে খলিলের লাশ নিয়ে যান ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা । নিহত খলিল গরু পাচারে রাখালের কাজ করতেন বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।
ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ জানান, ভারতীয় হলদিবাড়ি থানায় এই নিহতের ঘটনায় একটি ইউডি মামলা করে লাশের ময়না তদন্ত শেষে লাশ বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছেন তারা। বৃহস্পতিবার জেলা মর্গে নিহত খলিলের লাশের পুনরায় ময়না তদন্ত শেষে দুপুরে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
Discussion about this post