কুমিল্লায় বিকাশ হ্যাকিং চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় হ্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, বিপুলসংখ্যক সিমকার্ড ও ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার ভোররাতে নিজের বাড়িতে বসে হ্যাকিংয়ের কার্যক্রম চালানোর সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মো. খোরশেদ আলম (২৭) বিকাশ হ্যাকিং চক্রের মূল হোতা বলে জানায় র্যাব।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ছয়ঘরিয়া এলাকার মৃত ফজর আলীর ছেলে খোরশেদ দীর্ঘদিন ধরে অনলাইন বিকাশ এজেন্ট, মানি ট্রান্সফার এবং ব্যক্তিগত বিকাশ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে আসছেন। এই চক্রের সঙ্গে আরও একাধিক সদস্য জড়িত রয়েছে বলে জানায় র্যাব।
খোরশেদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, তিনি ২০০৯ সালে মালদ্বীপ গিয়েছিলেন। সেখানে কিছু অনলাইন হ্যাকারের কাছ থেকে হ্যাকিংয়ের বিষয়টি রপ্ত করেন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে ফিরে চ। হ্যাকিং সফটওয়্যার রসব.হবঃ৫১,৫২,৫৩ এর সাহায্যে এজেন্টদের পুরো সিস্টেমকেই হ্যাক করে এজেন্ট ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সব টাকা ট্রান্সফার করে নেয়। হ্যাকিংয়ের কাজে যে ৬৩টি সিম কার্ডব্যবহার করত তার সবগুলোই অন্যের নামে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন করা।
জিজ্ঞাসাবাদে খোরশেদ আরও জানায়, এককালীন সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা স্থানান্তর এবং দেশের ও প্রবাসীর পাঠানো প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।
র্যাব-১১ (সিপিসি-২ কুমিল্লা) মেজর মো. আতাউর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ভোররাতে খোরশেদকে তার বাড়িতে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ ঘটনায় বুড়িচং থানায় তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে (৫৭ ধারা) মামলা করা হয়েছে।
খোরশেদকে গ্রেফতারের সময় ২টি ল্যাপটপ, ৪টি ওয়াইফাই রাউটার, ৭টি পেনড্রাইভ, ২টি হার্ডড্রাইভ, ২টি হার্ডডিস্ক, ১টি মডেম, ৭টি হ্যাকিং সফটওয়্যার ভাইরাস সিডি, ১টি ইউপিএস, ৯টি মোবাইল ফোন, ৬৩টি সিমকার্ড, ৭টি এটিএম কার্ড, ২টি ব্যাংকের চেকবই এবং ২টি ড্রাইভিং লাইসেন্স জব্দ করা হয়।
Discussion about this post