রউফুল আলমঃনীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর গ্রামের মৃত বিনোদ রায়ের অসহায় মেয়ে এতিম তিলো বালা রায়। তিলোবালার দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে মেলাবর বাঘপাড়ার মহিমা রঞ্জন রায় (৫০) বিবাহ করে। একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেয়। নাম রাখেন ভক্তি রানী রায়। বর্তমান মেয়েটির বয়স ৬ বছর। বিয়ের পর হতে মহিমা রঞ্জনের প্রথম স্ত্রী ছবিতা রানী রায় ও তার সন্তানরা তিলোবালার উপর শারিরীক নির্যাতন ও ডাং-মাইর করতে থাকেন। তিলোবালা সহ্য করতে না পেরে এলাকাবাসীদের অর্থনৈতিক সহযোগিতায় তাহাদের বিরুদ্ধে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নীলফামারী আদালতে মামলা অনায়ন করেন। মামলা নং- না:শি:নি: ৭৫/১৩। সেই সাথে ভরণ-পোষণ আদায়ের জন্য পারিবারিক জজ আদালত, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারীতে মামলা করেন। তিলোবালার আনিত পা: ডিং ০১/১৮( পারিবারিক জজ আদালত, কিশোরগঞ্জ) মোকদ্দমায় মহিমা রঞ্জনের বিরুদ্ধে বিগত সাত মাস পূর্বে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড হয়। অভিযোগে আরো জানা যায়, বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামী মহিমা রঞ্জন রায়কে ধরার জন্য সাজা পরওয়ানার আদেশ কিশোরগঞ্জ থানায় আসলে ও পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানান এলাকাবাসী ।