বিশেষ প্রতিবেদকঃপাঠানটুলা-বিমানবন্দর বাইপাস রোড সংস্কার সহ উন্নয়নের নামে বিগত প্রায় ৩ বছর যাবৎ যান চলাচলের অনুুপযোগি করে রাখায় দুর্ভোগের শিকার ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী কর্তৃক গঠিত ‘পাঠানটুলা-বিমানবন্দর বাইপাস রোড উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি’ আহূত এক বিশাল মানববন্ধন থেকে আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষিত হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাস্তাটির সংস্কারসহ মেরামত কাজ সম্পন্ন করা না হলে, এলজিইডি’র দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিসহ জরিমানার দাবীতে ২৮ নভেম্বর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং এলজিআরডিমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। তাতেও যদি কোন সুফল না পাওয়া যায়- তা’হলে আগামী ডিসেম্বর ২০২০’র প্রথম সপ্তাহে সিলেট-সুনামগঞ্জ ও বিমানবন্দর-আম্বরখানা মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।
গত ১৫ নভেম্বর রোববার দুপুর ১২টায় সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের পাঠানটুলা পয়েন্টে অনুষ্ঠিত বিশাল মানবন্ধন কর্মসূচী পালন শেষে ‘পাঠানটুলা-বিমানবন্দর বাইপাস রোড’ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি’র পক্ষ থেকে এই কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক, আব্দুল জব্বার মদই মিয়া। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান, প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক ও কলমযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান।
বক্তব্য রাখেন, ৩নং খাদিমনগর ইউ.পি’র ২নং ওয়ার্ড মেম্বার সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, কয়েছ আহমদ দুলাল, শ্রমিক নেতা আব্দুল লতিফ তাফাদার, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আব্দুল জলিল তাফাদার, সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব মো. নাছির উদ্দিন, সিরাজ মিয়া (ভাটা), সেলিম আহমদ, বুধু মিয়া ভাণ্ডারী, সোয়াব আলী ও মো. তাজ উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘পাঠানটুলা-বিমানবন্দর বাইপাস রোড’ নামেই শুধু বাইপাস রোড- বাস্তবে এই রাস্তা দিয়ে দু’টি সিএনজিও এক সাথে ক্রস করতে পারেনা। তদুপরি এই রাস্তাটি বিগত প্রায় ৩ বছর যাবৎ সংস্কারসহ উন্নয়নের নামে সরকারি বরাদ্দের ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে অথবা প্রকল্প ব্যয় বাড়াতে যান চলাচলের অযোগ্য করে রাখা হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে ইতোমধ্যে একজন ডেলিভারীর রোগীর মৃত্যুসহ অনেক রোগী ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হচ্ছেন বলেন বক্তাদের অভিযোগ।