জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (৬ আগষ্ট) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় আম্বরখানাস্থ দলীয় কার্যালয়ে সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বাসদ সিলেট জেলা শাখার সমন্বয়ক আবু জাফর এর সভাপতিত্বে অন্যান্যোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বাসদ সিলেট জেলা শাখার সদস্য জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন,নাজিকুল ইসলাম রানা, মনজুর আহমদ, মামুন বেপারি, ইয়াছিন আহমদ,জাহেদ আহমদ, শুক্কুর আলী, ইউসুফ আলী, প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন অনেক ভালো বিকল্প থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মাত্র কয়েক মাসের মাথায় এইরকম উচ্চ হারে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন-এর দাম বাড়ায়?
সরকার একটা ভাঙা যুক্তি দিয়ে বলছে-
বিশ্ববাজারে এসব তেলের দাম বেড়েছে তাই বাধ্য হয়ে বাড়াতে হচ্ছে। কথাটা বিভিন্ন দিক থেকে ভুল।
প্রথমত, এখন বিশ্ববাজারে তেলের দাম উর্ধ্বমুখী না, বরং নিম্নমুখী। দ্রুত তেলের দাম কমে যাচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, এর আগে বিশ্ববাজারে তেলের দাম যখন অনেক কম ছিল তখন সরকার কয় বছরে লাভ করেছিলো ৪৭ হাজার কোটি টাকা, গত কিছুদিনে যে লোকসান হয়েছে তার তুলনায় এই লাভ কয়েকগুণ বেশি। তার মানে সরকার জনস্বার্থ ও অর্থনীতির কথা চিন্তা করলে লাভের টাকার একাংশ দিয়েই এই লোকসান ঠেকাতে পারতো।
বক্তারা বলেন, কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন অকটেন, পেট্রোল আমাদের কিনতে হয় না, দেশেই উদ্বৃত্ত হয়। তাহলে কেন গভীর রাতে পেট্রল,অকটনের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিতে হলো?
বক্তারা আরো বলেন,জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে, অর্থনীতিকে বিপদগ্রস্ত করে সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে ডিজেল, অকটেন, পেট্রোলের দাম বাড়ানোর পেছনে তাই সরকারের লোকজনদের লুটপাটে শতচ্ছিন্ন ছালা ভরা ছাড়া আর কোনো যুক্তি পাওয়া যায় না।
সরকার মনে করে, স্বৈরতন্ত্রী দাপটে তারা যা খুশি তাই করতে পারে।
বক্তারা জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
Discussion about this post