বিশেষ প্রতিনিধিঃবিয়ের পর তালাক এরপর আবার বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ের পিরিতে বসলেন যুবক যুবতী। ঘটনাটি ঘটেছে,নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ১০নং ভীমপুর ইউপির গোয়ালবাড়ি গ্রামের মৃত নাজিমুদ্দিন ছেলে মুক্তার হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, মুক্তার হোসেন বেলঘড়িয়া গ্রামের পরেশ ঋষি নামের এক ব্যাক্তির মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরী করে। এরপর মেয়েরটি সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন মুক্তার হোসেন। পরে মুক্তারের মাধ্যমেই আমরা জানতে পারি মেয়েটিকে হিন্দু থেকে মুসলিম ধর্মে রূপান্তরিত করে কোর্ট মাধ্যমে বিয়ে করেছেন। এভাবেই বিয়ের কয়েক মাস সংসার করার পর আবার তাদের কোর্ট মাধ্যমে তালাকও হয়ে গেছে,তালাক হওয়ার পর দুই জন আলাদা থাকার কথা থাকলেও মুক্তার হোসেন একটি বাড়ি ভাড়া করে নিয়ে, দুজন এক সাথে বসবাস করছেন।
এটা একটি অবৈধ সম্পর্ক যা আইন ও ধর্ম বিরোধী কাজ। উক্ত এলাকায় এই বিষয়টি নিয়ে তুলকালাম সৃষ্টি হলে গ্রামের সকলে মিলে তাদের আবার নতুন করে বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছে গতকাল ১৬/০৪/২০২০ ইং রোজ বৃহস্পতিবার বৈকাল অনুমানিক ৫ টার সময়। ভুক্তভোগী জানান, মুক্তার হোসেনের সঙ্গে আমার বহুদিনের সম্পর্ক বিয়ে করার কথা বলে আমার হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলিম ধর্মে পার করে নিয়ে আমাকে কোর্ট মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা দেনমহরে বিয়ে করে।
বিয়ের পর আমাকে তার বাড়িতে উঠানোর কথা থাকলেও মুক্তার বাড়িতে না উঠেয়ে একটি ভাড়া বাসাতে রাখেন। আমি ভাড়া বাসা থেকে মুক্তার কে বাড়িতে উঠানোর জন্য চাপদিলে সে স্বীকার করে যে আমি বিবাহিত। সেই জন্য আমাকে বাড়িতে আর উঠাবে না তবুও আমি মেনে নিয়ে কয়েক মাস সাংসারিক জীবন পার করেছি। এর মধ্যেই মুক্তার আমাকে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক নির্যাতন করে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে।এরপর আমি আমার বাবার বাড়িতে চলে আসি কিছু দিন পর মুক্তার আমার বাবার বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন ও টালবাহানা শুরু করে।
বিয়ের কথা বলে একটি বাসা ভাড়া করে আমাকে রেখে আমার সঙ্গে জোরপূর্বক দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে আর দিনের পর দিন নির্যাতন শুরু করে। ভুক্তভোগীর বাবা জানান, আমি গরীব মানুষ কাজ করলে আমার সংসার চলে,আর কাজ না করলে আমার সংসার চলে না।কাজের জন্য আমি ফরিদপুর গিয়ে ছিলাম এ মধ্যেই এতো ঘটনা ঘটে গেছে। আমি বাড়িতে আসার পর মেয়েকে জিঙ্গাসা করলে মেয়ে ঘটনা খুলে বলে। বিস্তারিত জানার পরে আমি ভয়ে কোন আইনী পদেক্ষ নিতে সাহস পাইনি।বিষযটি এলাকার মন্ডল মাতম্বরকে জানিয়ে রেখে ছিলাম কিছুদিন পরে মুক্তার আবার বিয়ে করার কথা বলে আমার মেয়েকে পালিয়ে নিয়ে যায়। পরে মেয়ের মাধ্যমে জানতে পারি যে মুক্তার আমাকে বিয়ে করেনি বা করবেও না এবং আমার মেয়ের সঙ্গে জোরপূর্বক দৈহিক সর্ম্পক করতে বাধ্য করে ও বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে আসছে। আমার মেয়ে যেহেতু আমার আমাদের হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্মে চলে গেছে সেহেতু আমাদের সমাজে মেয়েকে ঠাই দিবে না সে কারণে আমি বাবা হয়েও অসহায়। তবে মেয়ের ভাড়া বাসার এলাকার লোকজনের জানতে পারি তাদের দুজনকে আবার নতুন করে সামাজিক ভাবেই বিয়ে দিয়েছে তাতেই আমার একটু সস্থি। বিয়ের প্রলোভনে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে অবশেষে বিয়ের পিরিতে বসলেন যুবক যুবতী