চৌধুরী রিপন: বোয়ালখালীতে একটি স্কুলের শিক্ষকদের সাথে এলাকাবাসির দফায়-দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছ। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ কমপক্ষে ৩ জন আহত হয়েছে। ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পশ্চিম শাকপুরা হাজি আজগর আলী উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং এলাকাবাসি ও স্কুল সূত্রে জানাযায়- ২১ নভেম্বর দুপুর ১ টার দিকে প্রধান শিক্ষকের অফিসে শিক্ষকরা একটি সভা করছিল। এসময় সিরাজ নামের এলাকার এক উশৃংখল লোক হঠাৎ সভায় উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে অশালীন ব্যবহার শুরু করে এ নিয়ে উভয়ের বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক’কে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায় সিরাজ। পরে অন্যান্য শিক্ষকরা সদলবলে সিরাজের বাড়ীতে গিয়ে তার উপর হামলা করতে চেষ্টা করলে প্রতিরোধ শুরু করে এলাকাবাসি।
এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে কিছুক্ষণ। এক পর্যায়ে স্কুলের ভেতরে সকল শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে এলাকাবাসি। খবর পেয়ে বোয়ালখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
সূত্র জানায় আহত প্রধান শিক্ষক মোঃ আলী ও হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক আবু তৈয়বকে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখান থেকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রধান শিক্ষক কে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অপরদিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ দাবীর প্রতি ভিন্নমত পোষন করে অভিযুক্ত সিরাজ বলেন-পাওনা টাকা দেয়ার নাম করে প্রধান শিক্ষক আমাকে স্কুলে ডেকে নিয়ে গিয়ে লাঞ্চিত করেণ,এক পর্যায়ে উনি আমাকে লোহার রড নিয়ে মাড়তে উদ্যুৎ হন নিরুপায় হয়ে আমি তাকে জুতা নিক্ষেপ করে প্রতিরোধ করি।
পরে প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে অন্যান্য শিক্ষকগণ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমার বাড়ীতে হামলা করে এবং আমাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ সময় এলাকাবাসি তাদের প্রতিরোধে এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
এ নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ আজম খান এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন-অভিযুক্ত সিরাজ অযথা স্কুল শিক্ষকদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে শুনেছি। প্রধান শিক্ষক সুস্থ হলে এঘটনার একটা বিহিত ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
এ নিয়ে বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নেয়ামত উলাহ পি পি এম বলেন-খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। যদি কোন পক্ষ অভিযোগ দেন তাহলে আইনগত ব্যবস্থ্া নেয়া হবে।