৭১ বাংলাদেশ প্রতিনিধিঃ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড তীব্র যানজট পিসি রোডে রাস্তার ওপর উন্নয়ন কাজের মাটির স্তূপ। নগরীর বড়পুল থেকে নিমতলা বিশ্বরোডটিতে দিনের বেশিরভাগ সময় এমনিতেই যানজট লেগে থাকে। সেই রোডের উভয় পাশের ড্রেনের উন্নয়ন কাজ চলছে কয়েক মাস ধরে। কিন্তু ড্রেনের উত্তোলিত মাটি খনন করে তা রাস্তার পাশে স্তুপ করে রাখায় একদিকে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে, জনদুর্ভোগ চরমে ওঠেছে। রাস্তার পাশের কয়েকজন ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে ব্যবসা ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানায়, পোর্ট কানেকটিং সড়কের নয়াবাজার থেকে নিমতলা বিশ্বরোড পর্যন্ত দুই প্রকল্পের আওতায় রাস্তা ও পাশের ড্রেনের উন্নয়ন কাজ চলছে। বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার উন্নয়ন কাজের ড্রেনের মাটি তুলে রাস্তার পাশেই স্তুপ করছে। পোর্ট কানেকটিং সড়কের একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, উন্নয়ন কাজ হচ্ছে এটা অবশ্যই আনন্দের। তবে মাটিগুলো সরিয়ে না নিয়ে পাহাড়ের মতো স্তুপ দেয়ায় রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। আজিজ নামে বড়পুল সংলগ্ন এলাকার একটি গ্যারেজের মালিক জানান, দুই- তিন মাস আগে মাটি তুলে গেছেন ঠিকাদারের লোকজন। বৃষ্টিতে সেই মাটি ধুয়ে রাস্তা ও আশপাশে কাদায় একাকার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নির্মাণ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্তদের এ নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। তিনি আরও জানান, মাটির স্তুপের কারণে বড়পুলের হালিশহর রোডের পাশের আবাসিক এলাকার গলিতে পানি সরছে না। এতে এলাকাবাসীর পথ চলতে কষ্ট হচ্ছে। আজিজ আরও জানান, বড়পুল থেকে মহেশখাল কালভার্ট পর্যন্ত এলাকার পূর্বপাশের দোকানগুলোর বেশিরভাগই বন্ধ রাখতে হচ্ছে ড্রেনের উন্নয়ন কাজের জন্য। মাটির স্তুপের কারণে রাস্তা থেকে দোকানে যাওয়ার উপায় নেই। দোকানগুলোর বেশির ভাগই হলো টায়ার টিউব, গাড়ির ব্যাটারি, মোটর সাইকেল গ্যারেজ ইত্যাদি। কামাল নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ব্যবসা করার মতো পরিবেশ না থাকায় দোকান বন্ধ রেখেছি দুই মাস। এখন কয়েক মাসের জন্য অন্যত্র দোকান খুঁজছি। তার মতো আরও অন্তত ১০ দোকানদার বড়পুল এলাকা থেকে অন্যত্র সরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। মহেশখাল সংলগ্ন কয়েকজন বাঁশ ব্যবসায়ী জানান, পোর্ট কানেকটিং সড়কটি দিয়ে বেশিরভাগই ভারী যানবাহন চলাচল করে। সকাল ও বিকেল মিলিয়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা এই সড়কটিতে তীব্র যানজট থাকে। এরমধ্যে মাটির স্তুপের কারণে রাস্তার উভয় পাশে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। জানতে চাইলে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তৈয়ব জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই ঠিকাদারকে ডেকে মাটিগুলো সরানোর জন্য বলেছি। আশা করি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাস্তাটি পরিস্কার হয়ে যাবে।সূত্র জানায় মোটর বাইক চালকরা হতাশায় ভুগছেন যে কোন সময় হতে পারে মোটর বাইক চালকের প্রাণ হানি ।