বিশেষ প্রতিনিধিঃপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাব আরও ৫-৬ ঘণ্টা থাকতে পারে। এছাড়া ০৫ মে, রবিবার বিকেল ৫টার পর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করবে বলে জানান নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এর আগে সকাল ছয়টায় বাংলাদেশের স্থলভাগে খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা অবস্থান করছিলো ‘ফণী’। এটি এখন সেখানে থেকে ফরিদপুর ও রাজবাড়ী হয়ে ঢাকার হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে ২০ কিলোমিটার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। দক্ষিণ-পশ্চিম, পশ্চিম, মধ্যাঞ্চলসহ উত্তরবঙ্গ ও সিলেটেও ভারী বর্ষণ হবার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে যে ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল সেই অবস্থা এখন নেই। এছাড়া পূর্বাভাস অনুযায়ী যথাযথ প্রস্তুতি ও উপকূলের সকল মানুষকে সাইক্লোন সেন্টারে সরিয়ে নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সহনশীল মাত্রায় নিয়ে আসা গেছে।
০৪ মে, শনিবার আবহাওয়া অধিদফতর ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, বাতাস এখন স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। যদি বাতাসের তীব্রতা অধিক হতো তাহলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হতো। তারপরও আবহাওয়া সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলা যায় না, সে জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে আমাদের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে না যায়।
আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে রবিবারের পর সাইক্লোন সেন্টার ছাড়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে ০৩ মে, শুক্রবার মধ্যরাতে ‘ফণী’র দিক পরিবর্তনের কথা বলেছিল আবহাওয়া অধিদফতর। এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ তার দিক পরিবর্তন করেছে। এটি খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, নড়াইল, মেহেরপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী ও রংপুর হয়ে ভারত চলে যেতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গ পেরিয়ে আসার পথে আরও দুর্বল হয়ে এই ঘূর্ণিঝড় শনিবার সকাল ১১-১২ টার মধ্যে বাংলাদেশ পৌঁছাতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদফতর পূর্ভাবাস দিয়েছিল।
‘ফণী’র প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে বরগুনায় দুই জন ও ভোলা ও নোয়াখালীতে এক জন করে মোট চারজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বজ্রপাতে কিশোরপঞ্জে ছয় জন ও নেত্রকোণায় একজন নিহত হয়েছে। এছাড়াও ভারতের ওড়িশা রাজ্যে ‘ফণী’র আঘাতে আট জন নিহত হয়েছে।
Discussion about this post