৭১ বাংলাদেশ প্রতিনিধিঃআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা ভারতে নালিশ করতে যাইনি, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কথা বলতে গিয়েছি।’
শনিবার (০৫ মে) সকালে নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত তৃণমূলের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নগরের এসএস খালেদ সড়কের লেডিস ক্লাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যিনি ভারতের সম-সাময়িককালের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী ।ওনার কাছে ৫-১০ মিনিটের স্লট পাওয়া ভেরি ডিফিকাল্ট। তিনি আমাদের ডেলিগেটদের ৩২ মিনিট সময় দিয়েছেন। আমাদের সাথে প্রাণখুলে কথা বলেছিলেন তিনি। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর তার আস্থা আছে। রোহিঙ্গা সমস্যার মতো চ্যালেঞ্জ অতিক্রম এবং বাংলাদেশ স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়শীল দেশে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডায়ানামিক, ক্যারিশমেটিক, ক্রিয়েটিভ লিডারশিপের জন্য সম্ভব হচ্ছে।’
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা ভারতে ক্ষমতাসীন দলের সাথে বৈঠক করেছি। কয়েকজন মন্ত্রীসহ সামরিক, বেসামরিক, আমলাসহ সবার উপস্থিতিতে আমরা ডিনারে অংশ নিয়েছি। সেখানে জাতীয় স্বার্থ নিয়ে বক্তব্য রেখেছি। সেখানে একটা দৃষ্টান্ত রেখে এসেছি। দেশে আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে একে অপরকে আক্রমন করি। রাজনৈতিক ভাষায়ও করে আবার অনেকে অরাজনৈতিক ভাষাও করে। অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একটা কথাও আমরা বলি নাই। আমাদের দেশকে আমরা ছোট করতে চাই না। নালিশ করিনি, নালিশ করতে যাইনি। গিয়েছি আমাদের জাতীয় স্বার্থের কথা বলতে। গিয়েছি রোহিঙ্গাদের পাশে ভারতের সাপোর্ট আরও কন্টিনিউ করতে। একাত্তরে যেমন ভারত আমাদের পাশে ছিলো, সংকটেও আজকে ভারত আবারো আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বলেছি আমাদের উত্তর জনপদ শুকিয়ে যাচ্ছে। পানির জন্য হাহাকার। অনুরোধ করেছি ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ নেতৃবৃন্দকে তিস্তা নদীর পানি বন্টন, আমাদের ন্যায় সংগত হিস্যা এবং সীমান্ত চুক্তির বিষয় সংক্রান্ত বিষয়ে।’
তৃণমূলই আওয়ামী লীগের শক্তি উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিকে নিয়ে আমাদের চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। তারা নিজেরা নিজেরাই চোরাবালিতে আটকে আছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি রুখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিতকরণ, সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী ও গতিশীল করার লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম।
সভায় বক্তব্য দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও প্রাক্তন মন্ত্রী ডা. আফসারুল আমিন, খোরশেদ আলম সুজন, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, নঈম উদ্দিন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post