কবিতাঃদায়িত্ব অর্পণ ,
লেখকঃরফিকুল ইসলাম (খোকন)
ঘরে নেই একমুঠো চাল-থাকতে হবে লকডাউন।
কতদিন থাকতে হবে এভাবে বিধাতাই ভালো যানে।
ত্রাণ দিচ্ছে সরকার -দেওয়ার ছিলো দরকার।
গরিবের ঘরে কি পৌঁছাবে-যদি বিলায় নেতার দল?
বিড়ালকে যদি বানানো হয়-মাছের পাহারাদার।
কাটাও থাকবেনা অবশিষ্ট পরে থাকবে শূন্য থাল।
গরিবের ঘরে যদি পৌঁছাতে চান ত্রাণের মাল।
সোনার ছেলেদের হাতে অর্পিত করেন দায়িত্বভার।
জন্মলগ্ন থেকে দেখেছি-দেখেছে জনতার দল।
ভিক্ষুকের থালার থেকে পয়সা চুরি নেতার কাজ।
দিনের আলোতে মানবতার বুলি ছোড়া নেত্রীবৃন্দ।
রাতের অন্ধকারে ত্রাণ বিক্রির অর্থে আনন্দের সাজ।
ভুল হতে শিক্ষা নেওয়া সর্বদা বুদ্ধিমানের কাজ।
অতীত হতে শিক্ষা গ্রহণ করতে নেই কোন লাজ।
কম্বল চুরির অভিজ্ঞতা লেগে আছে যাদের গায়ে।
জাতির এ ক্লান্তিলগ্নে তাদের রাখুন লগডাউনে।
যদি দিতে চান ত্রাণ – মানবিকতার টানে।
সঠিক লোকের কাছে ছেড়ে দিন দায়িত্বভার।
কঠিন বিপদে মানুষের পাশে থাকে যারা।
তার নাম সেনাবাহিনী আমজনতার শ্রদ্ধা।
বিলায় যদি ত্রাণ -সোনার দেশের সোনার ছেলেরা।
দিনমজুর লগডাউন থাকতে তাদের বাঁধা থাকবেনা।
একমুঠো ভাত,আলুভর্তা,ডাল, গরিবের শুকরিয়া।
দু’হাত তুলে প্রার্থনা করতে কার পূর্ণ করেনা।
এ দেশের প্রধান নেতা নেত্রীর কাছে রাখি আবেদন।
বাংলার মহান নেতার বাণী একবার করিবো স্মরণ।
দেশ স্বাধীন করে সকলে পেয়েছে সোনার খনি।
আর আমি পেয়েছি চোরের খনি-তাই সাবধান।
দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক আলো।
বিড়ালের কাছে মাছ পাহারা না দেওয়াই ভালো।
গরিবের মুখে তুলে দিতে অল্প কিছু অন্ন।
সারা জীবন বাসবে ভালো আপনায় দিয়ে হৃৎপিণ্ড।