শরিফুল ইসলাম রাহাতঃ-
সে এক পরিবারের করূণ কাহিনী। আমরা ভাবি না আমরা কোন পরিবারের। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেটিকে প্রতিনিয়ত ভাবতে হয়,,,হয়তো কোনো কারণ নেই কিন্তু সেই কারণ না থাকার পিছনেও রয়ে যায়, হাজার লক্ষ বা কোটি টিরও বেশি কারণ।
মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন ছেলেকে ভাবতে হয় তার “মা”কে নিয়ে,,,ভাবতে হয় তার ছোট “বোন”গুলোকে নিয়ে,,,পরিবারের অন্যদের নিয়ে,,,আবার নিজেকে নিয়ে,,,যখন তার পকেট ফাকা,তখন সে ভাবতে হয় তার “বাবা”কে নিয়ে,,,কারণ তার এই ফাকা পকেটে যেটা আসবে সেটা তার বাবাকেই দিতে হবে,,,
তাকে ভাবতে হয়,,,তার বাবা প্রতিনিয়ত বাড়তি টাকা কোথায় পাবে,,,?তার বাবার আয় করা টাকাটাও বিভিন্ন হিসেবে ভাগ করা,,,
মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেটিকে এটাও ভাবতে হয়,,, তার পড়ালিখার খরচটা বাড়তি হচ্ছে কি না,,,তাকে এটাও ভাবতে হয়,,,বাবা তার কোচিংয়ের টাকাটা দিতে কষ্ট হবে কি না,,,মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেটিরও ইচ্ছে হয়,,,বন্ধুদের সাথে বেড়াতে যেতে,,,তারও ইচ্ছে হয় ভালো কোনো স্থান ভ্রমণ করতে,,,তারও ইচ্ছে হয় বাইক নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে,,,
কিন্তু সব স্বপ্ন সত্যি হয় না,,,কারণ সে মধ্যবিত্ত,,, তাকে অনেক কিছু ভাবতে হয়,,,সে যাদের সাথে চলছে তাদের মন রাখতে হলেও তাদের সাথে ঘুরাঘুরি করা,,,পকেটে টাকা থাক বা না থাক,,,
বাজার শেষে ফেরত ১০-২০ টাকা “মা”কে বলে নিজে রেখে দেওয়া,,,হয়তো ছোট বোনের চাওয়া,,”ভাইয়া দশ টাকা দেনা”,,
নিচের দিকে তাকিয়ে,ম্যানিব্যাগ থেকে দেওয়া,,,সবই মধ্যবিত্তেরর প্রতিনিয়ত করা কিছু উদাহরণ,,,
বাইকের ইচ্ছা টা,,,সাইকেল দিয়ে পূরণ করার চেষ্টা,,,বন্ধুরা ঘুরতে যাবে বললে,,,বলা “আমার ইচ্ছে নেই তোরা যা”,,,সব,,সবই মধ্যবিত্তের করণীয়,,,
Discussion about this post