৭১ বাংলাদেশ প্রতিনিধিঃবোয়ালখালী পোপাদিয়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার ও স্থানীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মোঃ আবদুল জলিলের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। গত ১২ এপ্রিল বোয়ালখালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন তারই আপন মামী। এ ঘটনায় ভাগিনা পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। জানা যায়- গত ২০১৮ সালের ২৬ মে উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের আকুবদণ্ডী গ্রামের প্রবাসী আবু তাহের তার ঘরে আরো স্ত্রী- সন্তানের কথা গোপন রেখে বিয়ে করেন পাশ্ববর্তি রোজিনা( ছন্দনাম) নামের এক কিশোরীকে। বিয়ের পর নববধুকে বোনের ছেলে মাওলানা আবদুল জলিলদের বাড়ীতে রেখে এক সপ্তাহের মাথায় বিদেশে পাড়ি জমান আবু তাহের। অভিযোগ রয়েছে মামার অবর্তমানে আবদুল জলিলের নজর পড়ে মামীর উপর।এক পর্যায়ে গত বছরের ১০ জুন রাত ১১টার দিকে রান্না ঘরে জোরপূর্বক ধর্ষন করে মামী(ছন্দনাম) রোজিনাকে। এ নিয়ে রোজিনা মুখ খুলতে চেষ্ঠা করলে বাড়ির সবাই আবদুল জলিলের পক্ষ নিয়ে গালমন্দ করতে থাকে এবং এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে এর পরিনাম ভাল হবে না মর্মে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। এ সুযোগে পরবর্তিতে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন করে আসছিল লম্পট জলিল। সর্বশেষ গত ১৫ ফেব্রুয়ারী রাতে ধর্ষন করে বলে দাবী রোজিনার। বোয়ালখালী থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ওবাইদুল ইসলাম বলেন, মেয়ের মায়ের মুখে এ লোমহর্ষক ঘটনা শুনে গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। পরবর্তীতে মেয়ের স্বীকারোক্তি মতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের আকুবদণ্ডী গ্রামের শরীয়ত উল্লাহর ছেলে কাজী আবদুল জলিল (৩৫)। তিনি পেশায় পোপাদিয়া ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিষ্টার ও একটি মসজিদের খতিবের দায়িত্ব নিয়োজিত আছেন।