বিশেষ প্রতিনিধিঃমসজিদে ২ জন হাফেজসহ মোট ১২ জন তারাবির নামাজ পড়তে পারবেনঃধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
সবাইকে বাসায় নামাজ পড়ার অনুরোধ করা হয়েছে। তাছাড়া জুমা ও অন্যান্য নামাজের ক্ষেত্রে পূর্বের নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।
করোনা সংক্রমণ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১০ জন মুসল্লি ও দু’জন হাফেজসহ মোট ১২ জন রমজান মাসে মসজিদগুলোতে এশা ও তারাবির নামাজ আদায়ের সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ
সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি অনুযায়ী দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ৫ মে ২০২০ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান।
মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, আগামী ৫ মে ২০২০ পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি মোতাবেক সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (৫ মে ২০২০ পর্যন্ত) বন্ধ থাকবে। সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষ হলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি সমন্বয় করা হবে।
এর আগে, করোনা ভাইরাসের সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে কয়েক দফা সরকার সাধারণ ছুটি ঘোঘণা করে সরকার। সে ছুটি অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ করে দেয়া হয়।
সাধারণ ছুটিতে সীমিত খোলা ১৮ মন্ত্রণালয়
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি থাকাকালীন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না। তবে এ সময় সীমিত আকারে ১৮টি মন্ত্রণালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে পৃথক দুইটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের বিধি-৪ শাখা থেকে জারি করা উভয় প্রজ্ঞাপনে একটিতে ছুটি বাড়ানোর সঙ্গে নতুন কিছু শর্ত যোগ করা হয়েছে। অন্যটিতে সীমিত আকারে যে ১৮টি মন্ত্রণালয় খোলা থাকবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে জরুরি কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য অফিস ও পরিবহনও ছুটির আওতামুক্ত থাকবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম দফা জারি করা প্রজ্ঞাপনে ছুটির বিষয়ে বলা হয়েছে, সাপ্তাহিক ছুটি ও সাধারণ ছুটির ধারাবাহিকতায় আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এবং ৩ মে হতে ৫ মে পর্যন্ত ছুটি থাকবে। এই ছুটির সঙ্গে ১ ও ২ মে সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত থাকবে। তবে ছুটিকালীন জরুরি পরিষেবা, যেমন-বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন; সড়ক ও নৌ পথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল প্রভৃতি) চলাচল করবে।
এছাড়া কৃষি পণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য শিল্প পণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচা বাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রযোজ্য হবে না। একইসঙ্গে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যমে (ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া) নিয়োজিত কর্মীগণ এ ছুটির আওতাবর্হিভূত থাকবে।
ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্পসহ সকল কলকারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে এমন প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে পারবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে শিল্প- কারখানা, কৃষি এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো ও গণপরিবহন পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে। আর ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে সময়ে সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফা জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সীমিত আকারে ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খোলা থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়।
