পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় চট্টগ্রামগামী মাইক্রোবাসে তল্লাশী চালিয়ে দশ লাখ টাকার ভারতীয় ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট আটক করেছে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের একটি বিশেষ টীম। এসময় মাইক্রোবাসের চালকসহ ছয়জনকে আটক করা হয়।
সোমবার দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা বাজারের ফারুক হোটেলের সামনে থেকে অবৈধ ভারতীয় ডেঙ্গু কীটসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম জানান, মাটিরাঙ্গার বড়নাল থেকে নোহা মাইক্রোবাস যোগে ভারতীয় ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মাটিরাঙ্গা বাজারের ফারুক হোটেলের সামনে নোহা মাইক্রোবাস তল্লাশী করা হয়।
তল্লাশীকালে তিনটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় ৩৯০০ পিস ভারতীয় ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট, ২৭০০টি প্লাস্টিকের বড় ড্রপার, এ্যাম্পুল ৯৮ পিস, ১৩০০টি প্লাস্টিকের ছোট ড্রপার জব্দ করা হয়। আটকৃত ডেঙ্গু পরীক্ষার কীটসহ অন্যান্য মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বলেও জানান পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম বলেন, সম্প্রতি দেশে ডেঙ্গু রোগের ভয়াবহতার সুয়োগ নিয়ে একটি অসাধু মহল অধিক লাভের আশায় সরকারের অনুমোদন ছাড়াই চোরাই পথে ভারতীয় ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট নিয়ে আসছে। চোরাই পথে নিয়ে আসা এসব ভারতীয় ডেঙ্গু পরীক্ষার কীটের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে । এসব ডেঙ্গু কীট আদালতের মাধ্যমে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন ল্যাব টেস্টের পরই জানা যাবে কীট গুলো আসল নাকি নকল।
নাগরিক সেবা নিশ্চিত করণে চোরাকারবারিসহ যেকোন অপরাধ দমনে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা তৎপরতাসহ সকল আইনগত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আটককৃতদের রিমান্ডে এনে এঘটনার সাথে আরো কারো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলার বর্ণাল ইউনিয়নের সওদাগর পাড়াার মৃত: সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো: আনোয়ার হোসেন (২৮), ডাকবাংলা মুসলিম পাড়ার মো: আবু তাহেরের ছেলে মো: জাকির হোসেন (৩০), চেয়ারম্যান পাড়ার মো: সামছুর রহমানের ছেলে মো: মুহিম উদ্দিন (২৮), ডাকবাংলা আলাউদ্দিন মেম্বার পাড়ার শাহাবুদ্দিনের মো: জাহাঙ্গীর আলম (২৮), ডাকবাংলা আলাউদ্দিন মেম্বার পাড়ার মো: জুলকু মিয়ার ছেলে মাইন উদ্দিন (২৮) ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মিস্ত্রিপাড়ার মো. রজব আলীর ছেলে মো. রবিউল ইসলাম (২৯) নামে ছয়জনকে আটক করা হয়।
প্রেস ব্রিপিংয়ের সময় খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাহমুদা বেগম, সহকারী পুলিশ সুপার (মাটিরাঙ্গা সার্কেল) আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ ও মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরীফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরীফ বলেন, এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Discussion about this post