একাত্তর বাংলাদেশ
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আর্ন্তজাতিক
  • অর্থনীতি
  • সারাবাংলা
  • চট্টগ্রাম সংবাদ
  • পার্বত্য চট্টগ্রাম
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • বিবিধ
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • সাহিত্য সংস্কৃতি
    • লাইফস্টাইল
  • ভিডিও
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আর্ন্তজাতিক
  • অর্থনীতি
  • সারাবাংলা
  • চট্টগ্রাম সংবাদ
  • পার্বত্য চট্টগ্রাম
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • বিবিধ
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • সাহিত্য সংস্কৃতি
    • লাইফস্টাইল
  • ভিডিও
No Result
View All Result
একাত্তর বাংলাদেশ
No Result
View All Result
Home চট্টগ্রাম সংবাদ

মাদক, অস্ত্র, চাঁদাবাজির অপরাধে জড়িয়ে দণ্ডিত সিএমপির ৫০ পুলিশ

প্রকাশকাল : 08/02/21, সময় : 6:30 pm
0 0
0
0
SHARES
12
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

বিশেষ প্রতিবেদকঃমাদক, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, জবরদখল,এমন কোনও অপরাধ নেই যাতে জড়াচ্ছেন না পুলিশ সদস্যরা। কখনও মাদক বেচা কেনায়, কখনও অস্ত্র বেচাকেনায় আবার কখনও সাধারণ মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়, সবই করছেন পুলিশ সদস্যরা। ঘটনা প্রকাশ্যে এলে শাস্তির মুখোমুখি হন হাতেগোনা। বাকিরা পার পেয়ে যান বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমেই। ফলে নিয়মিত বিরতিতেই অপরাধে জড়াচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার শপথ নিয়ে পুলিশে আসা সদস্যরা।

 

 

 

শুধু গত এক বছরেই নিজেদের তদন্তে অপরাধে জড়িত প্রমাণিত হওয়ায় চাকরিচ্যুতসহ শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন অন্তত ৫০ সদস্য। এর মধ্যে স্থায়ীভাবে চাকরি হারিয়েছেন ১০ জন আর গুরুদণ্ড পেয়েছেন আরও ৪০ সদস্য। তবে এসব অপরাধে জড়িতদের র‌্যাংক কনস্টেবল থেকে সাব ইন্সফেক্টরেই সীমাবদ্ধ।

 

 

এক হিসেবে দেখা গেছে, প্রতিমাসে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে মাসে দশটির বেশি অভিযোগ জমা পড়ে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। অনেকে সাহস করে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও বেশিরভাগই ভয়ে সেই পথে পা মাড়ায় না। এসবের মধ্যে কয়েকটির সত্যতা মিললেও বেশিরভাগই অভিযোগকারীর সাথে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আপোষ হয়ে যায়।

 

 

মূলত রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে অনেকেই নানাভাবে দ্রুত আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছে, আবার অনেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে বেপরোয়া হয়ে নানা অপরাধ করছে৷ রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ, পোস্টিং ও পদোন্নতির কারণেই এমনটা হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

 

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণে দেখতে পাই, এখন এমন কোনো অপরাধ নেই যাতে পুলিশ জড়িয়ে পড়ছে না। এটার ব্যাপ্তি খুব গভীর, বিস্তৃত এবং সব পর্যায়ে। কেউ কেউ যেমন সততার দৃষ্টান্ত দেখাচ্ছেন, তাদের সংখ্যা কম আবার অবস্থানও দুর্বল হয়ে আসছে।

 

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘একদিকে যেমন ব্যক্তিগতভাবে নৈতিক অবক্ষয়ের ঘটনা আছে। অন্যদিকে রাজনৈতিকভাবে পুলিশকে ব্যবহার করার যে প্রবণতা, সেখান থেকেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। দুর্নীতি এত বিস্তৃত হওয়ার কারণ এর সঙ্গে রাজনৈতিক যোগাযোগ। এর ফলে যেমন অনেকে জবাবদিহিতার বাইরে থাকার সুযোগ পান। আবার অনেকে রাজনীতিকে উদ্দেশ্য সাধনে বাধ্য হওয়ার পর নিজেও ব্যক্তিগতভাবে অন্যান্য অপরাধে জড়িয়ে অর্থ উপার্জনের পথ ধরছেন।

 

 

তিনি বলেন, ‘বাহিনীর মধ্যে যেমন দুর্নীতি-অনিয়ম-অপরাধের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তেমনি রাজনৈতিক কারণে পুলিশকে অপরাধের দিকে ঠেলে দেয়া বন্ধ করতে হবে।

 

যদিও সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘পুলিশের যারা দুর্নীতিতে জড়াচ্ছেন, সেটা সংখ্যা হিসেবে খুব বেশি নয়। তবে কম-বেশি যেটাই হোক, এরকম অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে শক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়। আকাম করে কেউ পার পায়নি, পাবেও না। যেই অপরাধী হবে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।’

 

সিএমপির উপ কমিশনার (সদর) আমীর জাফর জানিয়েছেন, অপরাধ করে কোনও পুলিশ সদস্যই পার পেয়েছে এরকম নজির নেই। আমাদের নজরে এলেই তা তদন্ত করে আইনমত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গত ২০২০ সালে সিএমপির ৫০ সদস্য শাস্তির আওতায় আসছে। এদের মধ্যে দশ সদস্য চাকরিচ্যুত হয়েছে আর ৪০ জন গুরুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে। তাদের অনেকের পদাবনতি করা হয়েছে, কারো বেতনবৃদ্ধি রহিত করা হয়েছে, আবার কারও সার্ভিসবুকে ব্ল্যাক পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে।

 

তিনি আর বলেন, ‘আমাদের কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসা মাত্রই আমরা কিন্তু তাদের শাস্তি নিশ্চিত করছি ৷ কারো কারো ক্ষেত্রে বিভাগীয় মামলা হচ্ছে, আবার কারো ক্ষেত্রে ফৌজদারি মামলাও দেয়া হচ্ছে ৷ আমরা শাস্তির মাধ্যমে তাদের বোঝাতে চাই, অপরাধ করলে পার পাওয়া যাবে না৷

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, ‘পুলিশের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে এটা বলবো না৷ বলা উচিত এই প্রবণতা আগেও ছিল, এখনো আছে৷ আগে সেভাবে গণমাধ্যমে আসত না, এখন আসছে ৷ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও আগে সেভাবে খেয়াল রাখত না, এখন রাখছে৷ ফলে বিষয়টি সামনে চলে এসেছে৷ আমি মনে করি, পুলিশের মধ্যে কোন পরিবর্তন হয়নি৷ তাদের কিছু বিভাগ বেড়েছে সত্যি, কিন্তু সেই বৃটিশ নিয়মেই তারা চলে ৷

 

 

তিনি আরও বলেন, ‘আর এই সংস্কারটা হচ্ছে না- এর কারণ পুলিশকে অনেক বেশি রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হয়৷ পুলিশের মধ্যে এমন কোন ক্যারিশমেটিক নেতা আসেনি যে তারা নিজের উদ্যোগেই সংস্কার করবে৷ আর আমাদের অর্থনীতি যেভাবে বেড়েছে তাতে পুলিশের মধ্যে এই দিকে ধাবিত হওয়ার প্রবণতা রয়েছে৷ অনেকেই অল্প দিনে ধনী হতে চান ফলে তারা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন ৷

 

গত বছর থেকে শুরু হওয়া ডোপ টেস্ট করানো হয় ৫৭ জনকে। এরমধ্যে ৭ জনের পজেটিভ আসায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

 

রবিবার (ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার এক ব্যক্তিকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ডিবি পরিচয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ছয় সদস্য। তারা হলেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের বডিগার্ড মোরশেদ বিল্লাহ, নগর পুলিশের উপ কমিশনার গোয়েন্দা (পশ্চিম ও বন্দর) মনজুর মোরশেদের বডিগার্ড মো. মাসুদ, দামপাড়া রিজার্ভ ফোর্স অফিসে কর্মরত শাকিল খান ও এস্কান্দর হোসেন, সিএমপির সহকারী কমিশনার কর্ণফুলী কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর মনিরুল ইসলাম ও ডিবিতে (উত্তর) কর্মরত আবদুল নবী। তারা সকলেই কনস্টেবল পদে কর্মরত। পরে তাদের চাঁদাবাজির মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

এরআগে গত বছরের ১৬ জুলাই রাতে নগরের আগ্রাবাদ বাদামতলী বড় মসজিদ গলিতে যান এসআই হেলাল খান। সেখানে দশম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোর সালমান ইসলাম ওরফে মারুফের সঙ্গে সোর্সসহ পুলিশ কর্মকর্তার কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। সালমানের পরিবারের দাবি, টাকার জন্য এসেছিলেন এসআই হেলাল। এক লাখ টাকা দাবি করেন। না হলে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। ভয়ে তাঁরা ৩০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন।

 

এর মধ্যে সালমানের মা-বোনের সঙ্গেও পুলিশ ও সোর্স ধস্তাধস্তি শুরু করেন। তাতে সালমানের বোন অচেতন হয়ে পড়েন। এ সময় তারা সালমানের বোন ও মাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এতে সালমানের ধারণা হয়, পুলিশ তার মা ও বোনকে থানায় নিয়ে গেছে। পরিবারের অভিযোগ, এতে ক্ষোভে সালমান বাসায় আত্মহত্যা করে। এঘটনার সত্যতা পেয়ে এসআই হেলাল খানকে বরখাস্ত করে চাকরিচ্যুত করা হয়।

 

গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর অস্ত্র বিক্রি করতে গিয়ে নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভ বড়ুয়াকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ের সামনে থেকে ওই দিন তাঁকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় করা মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। তাঁর কাছ থেকে বিদেশি রিভলবার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বরখাস্ত হয়ে তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। সৌরভ চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশে কর্মরত ছিলেন।

 

ওই ঘটনার এক দিন আগে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে ঘটনায় করা মামলায় সীতাকুণ্ড থানার এসআই সাইফুল ইসলাম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে কারাগারে পাঠান আদালত।

 

ShareTweetPin
Previous Post

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সম্পূরক খাদ্যের ব্যবহার শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

Next Post

চাঁদাবাজির মামলায় সিএমপির ৬ পুলিশ গ্রেপ্তার

Next Post

চাঁদাবাজির মামলায় সিএমপির ৬ পুলিশ গ্রেপ্তার

৪৭ হাজার গ্রামপুলিশ সদস্যদের পক্ষে কাজ করছেন লালমিয়া

আজ বাংলাদেশ আনসার গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪১তম দিবস

প্রকাশক-সম্পাদকঃশেখ সেলিম
চট্টগ্রাম অফিস :
পাঠানটুলী রোড, নাজিরপোল, চট্টগ্রাম।
মোবাইল: 01768-214512, 01960557400
ই-মেইল : [email protected]

একাত্তর বাংলাদেশ

আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে লিখি

“আপনার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের জানান, আমরা তা প্রকাশ করব নতুন প্রজন্মের স্বার্থে”
বিঃদ্রঃ- মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক পরিবারের যে কোন বিজ্ঞাপন বিনা খরচে প্রকাশ করা হয়।
সহযোগিতায়: মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক পরিবার কল্যাণ ফাউন্ডেশন |

Copyright©2018: দৈনিক একাত্তর বাংলাদেশ II Design By:F.A.CREATIVE FIRM

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আর্ন্তজাতিক
  • অর্থনীতি
  • সারাবাংলা
  • চট্টগ্রাম সংবাদ
  • পার্বত্য চট্টগ্রাম
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • বিবিধ
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • সাহিত্য সংস্কৃতি
    • লাইফস্টাইল
  • ভিডিও

Copyright©2018: দৈনিক একাত্তর বাংলাদেশ II Design By:F.A.CREATIVE FIRM

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Create New Account!

Fill the forms bellow to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In