রাজধানীর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মঙ্গলবার এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ধরা পড়ে।
ওয়াসার পানি জারে ভরে বিক্রি, বিএসটিআইর লাইসেন্স গ্রহণ না করে অবৈধভাবে মানচিহ্ন ব্যবহার করে পানি বাজারজাত করায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিএসটিআই। অভিযানকালে চারটি পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দুটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা এবং মালামাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।
বিএসটিআইর মহাপরিচালক সরদার আবুল কালাম অভিযানে অংশ নেন। বিএসটিআইর নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে এবং র্যাব ও ওয়াসার সহযোগিতায় মহানগরীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে চারটি অবৈধ ড্রিংকিং ওয়াটার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করা হয়। এরমধ্যে বিএসটিআইর লাইসেন্স গ্রহণ না করে অবৈধভাবে মানচিহ্ন ব্যবহার করায় নদী ফুড অ্যান্ড বেভারেজকে ১ লাখ টাকা এবং সেইফ ইন্টারন্যাশনালকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বিএসটিআই অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৫ (অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৩) এর ২৪/১৯ ধারা লংঘনের দায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিষ্ঠান দুটিকে দণ্ডিত করেন। একই অপরাধে তাবাসসুম ড্রিংকিং ওয়াটার এবং সোনালী ড্রিংকিং ওয়াটার সিলগালা করা হয়।
অভিযানকালে বিএসটিআইর মহাপরিচালক সাংবাদিকদেরকে এ বিষেয়ে ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া এবং প্রধানমন্ত্রী ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিএসটিআই তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর। ভোক্তা পর্যায়ে ভেজালমুক্ত খাবার পৌঁছে দিতে বিএসটিআই সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ১৯৪টি বাধ্যতামূলক পণ্যের পরীক্ষণ, সনদ প্রদান এবং মনিটরিং করার দায়িত্ব বিএসটিআইর। এর মধ্যে ড্রিংকিং ওয়াটার অন্যতম।
বিএসটিআইর এমন অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান এর মহাপরিচালক।