বিশেষ প্রতিনিধিঃমুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদ নেতা কাজী আরেফ আহমেদ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তার মেয়ে কাজী আফরিন জাহান জুলি।
কাজী আরেফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স রুমে এক সভায় কাজি জুলি বলেন, “একটি ভয়ঙ্কর নৃশংস নির্দয় হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আমরা কাজী আরেফ আহমেদকে হারিয়ে ফেলি। “খুনিরা তাকে সামনে থেকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। তার হত্যার পেছনের পরিকল্পনাকারীদের সম্পর্কে আমরা এখনো জানতে পারি না। আমি মনে করি, তাদের জানা প্রয়োজন।”
মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনীর নেতা কাজী আরেফ স্বাধীনতার পর জাসদ গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন, জাতীয় কৃষক লীগের সভাপতি ছিলেন তিনি।
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমানের আমলে আগের বৈরিতা ভুলে আওয়ামী লীগ-জাসদ ঐক্য প্রতিষ্ঠায় কাজী আরেফের ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ‘৯০ এর দশকে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ‘একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি’ গঠিত হলে তাতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারে জাসদের অংশগ্রহণেও কাজী আরেফের ভূমিকা ছিল।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কালিদাসপুরে ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এক জনসভায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
কাজী আরেফের এই স্মরণ সভায় তার মেয়ে ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, আইনজীবী জেড আই খান পান্না, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুনীর উদ্দীন আহমেদ ও নাজমুল হক প্রধান বক্তব্য দেন।।