৭১ বাংলাদেশ ডেস্কঃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে সোমবার স্বাধীনতা দিবসে নয়াদিগন্ত পত্রিকায় ড. মোর্শেদ হাসান খানের ‘জ্যোর্তিময় জিয়া’ নামে একটি কলাম প্রকাশিত হয়। ওই কলামে তিনি স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম উল্লেখ করেছেন।
এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগ নেতারা মঙ্গলবার দুপুরে দলে দলে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে প্রবেশ করে। এসময় ছাত্রলীগ নেতাদের ‘মোর্শেদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘মোর্শেদের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরবর্তীতে একটি ছোট সমাবেশে কর্মসূচি ঘোষণার মধ্য দিয়ে তাদের কার্যক্রম শেষ হয়।
সমাবেশে ছাত্রলীগ নেতারা অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন এবং তার পদত্যাগ দাবি করেন।
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, আমরা দেখেছি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই ভাষণ দিয়ে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা শুরু করেছিলেন। ২৬ মার্চ তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর সেইদিনই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম, সেই জাতির জনককে নিয়ে আজকে ড. মোর্শেদ হাসান খান যে দুঃসাহস দেখিয়েছেন তার জন্য তাকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অচিরেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. মোর্শেদ হাসান খানকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করলাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্দেশ্যে করে জাকির বলেন, যত দ্রুত সম্ভব ড. মোর্শেদ হাসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় কিভাবে দাবি আদায় করতে হয়, তা ছাত্রলীগ ভালোভাবে জানে।
জাকির বলেন, বুধবার বেলা ১১টায় আমরা ড. মোর্শেদের বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরারব স্মারকলিপি প্রদান করবো।
সমাবেশের পর ড. মোর্শেদের কুশপত্তলিকা দাহ করা হয়। এরপর নয়া দিগন্ত পত্রিকার বেশকিছু কপি জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ, ঢাবি ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন হলশাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।