জনতার কলাম-মোঃ মনছুরঃমুল্যায়ন করা হোক সেসব নেতাদের যাঁদের ছাত্রলীগ,যুবলীগ আওয়ামীলীগ করার গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরমের জন্য লাইন ধরেছে ব্যবসায়ী সহ নানা দল থেকে আগত নানা পেশার অরাজনৈতিক ব্যাক্তিরা। যাদের অতীত পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে ছাত্রলীগ যুবলীগ বা আওয়ামী রাজনীতির সাথে তারা কোন সময় সংশ্লিষ্টতা ছিলনা।
আগেকার দিনে সকল অভিভাবক স্বপ্ন দেখতেন নিজ সন্তানদের নিয়ে।বড় করে লেখাপড়া শিখিয়ে, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, উকিল তথা ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করবে।
হয়তো বর্তমান এবং আগামী প্রজন্ম নিজেকে আর উচ্চপেশায় বা সেবা মূলক পেশায় নিয়োজিত হওয়ার বিভোর স্বপ্ন দেখবে না? বর্তমান রাজনৈতিক যে চরিত্র উন্মোচন হয়েছে তা দেখে কোন রকমে রাজনীতিবিদ হয়ে যেতে পারলেই জীবনের সফলতা এসে যাবে।
প্রশ্নজাগে রাজনীতি কি রাজনীতিবিদদের হাতে আছে?আমরা অনেকেই ছাত্রলীগ করেছি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও করেছি। রাতজেগে পোস্টার, দেয়াল লিখন করেছি, বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষন ৯০ দশকে এলাকার মাইকে বাজিয়েছি।অনেকে গালমন্দ করেছে, অনেক সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছি, আত্মতৃপ্তি ছিল আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর ভিত্তি করে আমাদের পথচলা ছিল।
বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রলীগকে প্রতিষ্টিত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী পরিবারগুলো থেকে কর্মী সৃষ্টি করেছি।কথায় আছে দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।
বিগত কিছু স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কিছু কার্ড জামাত শিবিরের গলায় ঝুলতে দেখেছি ।
এই নিদারুণ দৃশ্য আহত করেছে।
আমাদের প্রাণের সংগঠন জাতির জনক শেখ মুজিবের হাতে গড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মকান্ডে অসুন্দর কোন কিছু দেখলে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হয়।
রাজনীতি রাজনীতিবিদের হাতেই নিরাপদ। যেভাবে ভুমিদূস্য,জলদস্যূ, অবৈধ কারবারিরা যে হারে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে স্থানীয় ইউনিয়ন, থানা,জেলা পর্যায়ে তাদের কাছে অসহায় তারা যারা চিকা মেরেছিল রাত জেগে,বছরের পর বছর নির্যাতিত হয়েছিল যে ত্যাগী কর্মীরা যাদের আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কোন চাওয়া পাওয়া ছিল না।
ঐ ত্যাগী কর্মীদের মনের ভাবটা শুধুই বুঝেছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা ত্যাগীদের প্রানপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা।
তাই তো শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার ত্যাগী কর্মীরা অভিমানি হয় কিন্তু বেইমান না।বেইমানি করে যারা দল থেকে বিভিন্ন কৌশলে সুবিধা ভোগ করে।
সেই ত্যাগী অভিমানি কর্মীদের পক্ষ হয়ে বলতে পারি, আমরা নৌকার পক্ষে, আমরা শেখ হাসিনার পক্ষে।আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে অশুভ শক্তির পতন হোক জয় হোক ত্যাগী কর্মীদের মনোবাসনা।
যোগ্য প্রার্থীকে দেওয়া হোক নৌকা প্রতীক যার হাতে নিরাপদ থাকবে প্রাণের সংগঠন আওয়ামী লীগ।যার রয়েছে আওয়ামীলীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ করার গৌরবময় ইতিহাস। সকল ত্যাগী নেতাদের জন্য রইল শুভকামনা।