বিশেষ প্রতিনিধিঃরাঙামাটিতে ভোট শেষে ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম নিয়ে উপজেলা সদরে ফেরার পথে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে এক নির্বাচনি কর্মকর্তাসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন আনসার সদস্য। তাদের মধ্যে দুজন নারী আনসার সদস্য। সাজেক ইউনিয়নের একটি কেন্দ্র থেকে তারা বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরে চাঁদের গাড়িতে করে ফিরছিলেন।
অন্যজনকে হামলাকারী হিসেবে সন্দেহ করছে স্থানীয়রা। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাঘাইছড়ির নয় মাইল এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বাঘাইছড়ির থানার ওসি এমএম মঞ্জুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত পোলিং অফিসার হচ্ছেন স্থানীয় কিশলয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আমির হোসেন। আর নিহত চার আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা হচ্ছেন মো. আল আমিন, মিহির কান্তি দত্ত, বিলকিস ও জাহানারা বেগম। নিহত অপরজনকে মন্টু চাকমা হিসেবে শনাক্ত করেছে স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের পাশের ঝোঁপ থেকে মন্টু চাকমার লাশ উদ্ধার হয়েছে। তারা জানান, চাঁদের গাড়িটিতে সন্ত্রাসীরা ব্রাশফায়ার করার সময় আনসার সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় প্রশাসনের গুলিতে মন্টু চাকমা নিহত হন।
এ হামলায় আহতদের হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি ইউএনও নাদিম সরোয়ার।
রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাত জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশ সদস্যরা গিয়েছেন। আমরা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছি।
এদিকে একাধিক সূত্র জানায়, সন্ত্রাসীদের হামলায় সাত জন নিহত হওয়ার খবরের পর রাঙ্গামাটিতে নিয়োজিত সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরাও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথভাবে অভিযানের প্রস্তুতিও চলছে।
দ্বিতীয় দফার উপজেলা নির্বাচনে গতকাল রাঙ্গামাটির সাতটি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলাও রয়েছে। এ হামলার দায়িত্ব এখনও স্বীকার করেনি কেউ। প্রশাসনও এখন পর্যন্ত দুর্বৃত্তদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
Discussion about this post