৭১ বাংলাদেশ প্রতিনিধিঃচট্টগ্রামের হাটহাজারীতে রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি মহাসড়কে পৌরসভার রশিদ দিয়ে চলছে নিরব
চাঁদাবাজি। উপজেলা প্রশাসন দেখেও না দেখার মত। এই মহাসড়ক গুলোতে নিত্যসঙ্গী যানজট লেগেই
থাকে দেখার জন্য কোন অভিভাবক নেই। প্রকাশ্যে দিবালোকে ওই মহাসড়কে
পৌরসভার রশিদ বই দিয়ে চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে। তাদের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে
গাড়ির চালক ও মালিকসহ সাধারণ যাত্রীরা । নগরের অক্সিজেন মোড় থেকে হাটহাজারী বাসস্টেশন জিরো
পয়েন্ট হয়ে রাঙ্গামাটি সড়কে চার লেইন বাইরোড় করা হলেও রাস্তার দু’পাশে বাসস্টেশন কলাবাগান সড়ক
দখল করে অযাচিত ভাবে পার্কিং করে রাখে চাঁদেরগাড়ী, সি এন জি,টেম্পু অটোরিক্সা ও ব্যাটারি
চালিত রিক্সা। এই যানবাহন যত্রতত্র পার্কিং ও রাস্তার মাঝখানে যাত্রী উঠানামা করার কারণে তীব্র যানজট
লেগেই থাকে।
সূত্রে জানা যায়, মাসিক মাসুয়ারার বিনিময়ে রাস্তার প্রায় বৃহৎ অংশ দখল করে
চার লেইনকে এক লেইন করে রাখছে এসব যানবহন। যার ফলে যানজটের কবলে
হাটহাজারীবাসী প্রতিনিয়ত দীর্ঘ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই ভোগান্তি থেকে রেহাই পাচ্ছে না
স্বল্প দুরত্বের পথচারীর পর্যন্ত। এবং দিন দিন সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাটহাজারী পৌরসভার (সার্ভিস চার্জ/স্টপিজ ফি/ স্ট্যান্ড ফি নামের বিভিন্ন)
রশিদ দিয়ে প্রতিদিন ৪-৫টি গ্রæপ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চাঁদা আদায় করছে। চট্টগ্রাম-
খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটি মহাসড়কের হাটহাজারী পৌরসভার কলেজ গেট,উপজেলার সম্মুখে, জাগৃতি
মোড়,কাচারী সড়ক বাসস্টেশন, থানার সামনে, বাজারে কাচাড়ি সড়কের মোড় এলাকায় চাঁদাবাজি করে
যাচ্ছে। চাঁদা আদায়ের সময় তারা প্রতিটি কার্ভাডভ্যান থেতে ১’ শ, বড় পিক-আপ ছোট পিক-আপ
থেকে ২শত’ এবং অন্যান্য যানবাহন থেকে গড়ে ৫০ থেকে ৫ শত টাকা হারে আদায় করে চলছে। এদের আদায়ের
রশিদের বিশেষ দ্রষ্টব্য দিয়ে লেখা হয়েছে গাড়ি পার্কিং করা মাত্রাই টাকা দিতে বাধ্য থাকিবে। এক
ভোক্তভুগি চালক বলেন, সকালে গাড়ি নিয়ে হাটহাজারী বাজার হয়ে ডুকার পথে রাস্তায় পৌরসভার রশিদের
বিনিময়ে টাকা দিতে হয় ।
লাইনম্যান দৈনান্দিন চাঁদার জন্য জবর্দস্তি করে। ভোক্তভুগি চালক আরো বলেন এইসব তালবাহানা করে প্রতিদিন আমাদের গাড়ি
চালাতে হয়। এই নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এখনো পর্যন্ত কোন নজরে আসেনি।
রশিদ দিয়ে চাঁদাবাজির সত্যতার ব্যাপারে জানতে চাইলে হাটহাজারী পৌরসভার প্রধান সহকারী মোঃ
শাহাব উদ্দিন বলেন, শুধু মাত্র হাটহাজারী পৌরসভার ৫টি স্ট্যান্ডে সিএনজি আটোরিকশা/টেক্সি/ টেম্পো
থেকে ৫টাকা ও কার/মাক্রো/হাইচ/পিক-আপ থেকে ১০টাকা করে খাস আদায় করার জন্য হাটহাজারী
এলাকার কয়েক জন ব্যক্তি কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে,এর বাহিরে পৌরসভার নাম ভাঙ্গিয়ে কাউকে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করার জন্য ইজারা বা লিজ দেয়া হয়নি।অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের বিষয়ে তিনি জানেন না বলে জানান ।পৌরসভার এলাকাবাসি বলেন চাঁদাবাজি বন্দ হবে কবে ।
Discussion about this post