বিল্লাল হোসেনঃ দেবিদ্বার উপজেলার ১১ নং রাজামেহার ইউনিয়নে গত ১৭/১২/১৮ ইং তারিখে বিকাল ২ ঘটিকার সময় মরিচা টু চুলাশ হাইস্কুল রোডে পাশে স্হাপিত ১৯৯৫/৯৬ সনে সরকার সৃজিত কাঠ বাগানে নিয়মিত টহলের সময়( ১) মোঃ নজরুল ইসলাম( ২) মোঃ দেলোয়ার হোসেন সহ আরো ২/৩ জনকে ১ টি শিশুগাছ ও ১ টি রেইনট্রি কড়ুই গাছ অবৈধ ভাবে কর্তন করে পাঁচারের সময় দেবিদ্বার উপজেলা বন কর্মকর্তা ও কাঠ বাগানের মালি ঘটনাস্থলে উপস্হিত হয়। বন কর্মকর্তাদের আসতে টের পেয়ে উল্লেখিত পাঁচারকারীরা পালিয়ে যায়। তখন বন কর্মকর্তা আঃ মতিন সাহেব বাদী হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করেন। মামলা নং P,O,R NO-02(দেবী অব ২০১৮/১৯) ইং উক্ত রুজুকৃত মামলার এজাহারে অপরাধের ধরন উল্লেখ আছে। বিনা অনুমতিতে অবৈধ ও বে-আইনীভাবে সামাজিক বনে অনুপ্রবেশ করে পাঁচারের উদ্দেশ্য গাছ কাটা(১৯২৭ সনের(২০০০ইং সনে সর্বশেষ সংশোধিত) ২৮(ক) ধারা মোতাবেক অপরাধী ও ৩৩ (১) (ছ) ধারা মোতাবেক শাস্তি যোগ্য অপরাধ করিয়াছে। মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ আছে,গাছের মোথা,ও খন্ডকৃত টুকরা পরিমাপ করিয়া সদ্য কাটা টুকরা গুলো জব্দ এবং ১ টি জব্দ তালিকা প্রস্তুত করেন।যার নঃ পৃঃ নং ৯০/১১৭৭ তে লিপিবদ্ধ করেন।জব্দকৃত গাছের টুকরা গুলো সরকারি ভাবে পরিবহনের অসুবিধার্থে ঘঠনার স্হানে সংরক্ষণ করেন।এবং সে মোতাবেক জব্দকৃত গাছের টুকরাগুলো ঘঠনাস্হল থেকে উদ্ধার পূর্বক উপজেলা বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আনতে গিয়ে উক্ত মামলার আসামী নজরুল ইসলাম ও দেলোয়ার হোসেনের সমর্থিত লোকজন এসে জোড় করে গাড়ী থেকে নামিয়ে রেখে দেন। এবং গাড়ীতে উঠানোর সময় শ্রমিকদের ধমকি দেন। এ বিষয়ে বন কর্মকর্তা আঃ মতিন সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আসামী পক্ষের লোকজনের কর্মকান্ডকে আমি হতাশ। মামলায় জব্দ তালিকার গাছ উদ্ধার করতে এসে তাদের জোঁড় প্রয়োগ করে গাছ নামিয়ে রাখা আইনের পরিপন্থী কাজ। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে বলে জানান।