একটা সময় না হয় খুব দ্রুত ঘুমিয়ে যাওয়ার অভ্যাস ছিলো। আর এখন খাবার খেতে খেতে কেটে যায় সময় – সেটাও রাত ১২ টা।
তারপর বিছানায় শুয়েই গেলো ঘণ্টা দুয়েক ফোনে গুতোগুতি করে। অনেক সময় ভোরও হয়ে যায়৷
কত রাত এভাবেই পার হয়৷ ফলে দৈনিক রুটিনে আসে ব্যাঘাত৷
শুধু রুটিনের ব্যাঘাতই মূল সমস্যা নয়। একদিন শরীর খারাপ লাগা শুরু। সেই খারাপ লাগা থেকেই ডাক্তার চেকআপ এবং বাজে রোগ শনাক্ত করা হয়। অর্থাৎ ঘুমানোর অভ্যাসটা ঠিক করতে হবে।
রাত জাগার বাজে অভ্যাস অবশ্য এত সহজে কাটানো সম্ভব না। তবে মোটামুটি তিন সপ্তাহ ধরে সাত সকালে জাগার অভ্যাস গড়ে তুললে উন্নতির আশা রাখা যায়।
মূল সমস্যা হলো কিভাবে সেই অভ্যাসটা গড়ে তোলা সম্ভব। খুব কঠিন কিছু না হলেও একটু কঠিন।
তবে শুধু নিজের ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে সহজেই অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবেন। কিভাবে করবেন তা? আসুন জেনে নেই।
প্রথমেই ঘুমের সময় মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন। রাত ১০ টা বা বড়জোর ১১ টার দিকে ঘুমিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন ভোরে ওঠার অভ্যাস করুন।
প্রথম দিন চার ঘণ্টার মতো ঘুমিয়ে ভোরে উঠে গেলে সারাদিন ক্লান্তিতে সহজে তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে। তবে নেহাত ঘুম না আসলে জোর করে এমন করবেন না।
প্রতিদিন কোন সময়ে ঘুমাতে যাচ্ছেন আর কখন উঠছেন তা খেয়াল রাখা জরুরী। নাহলে সমস্যা হবে এমনটাই স্বাভাবিক।
রাতে ঘুমানোর আগে ক্যামোমিল বা গ্রিন টি খেয়ে নিলে ঘুম ভালো হবে রাতে ঘুমানোর আগে ক্যামোমিল বা গ্রিন টি খেয়ে নিলে ঘুম ভালো হবে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে নিবেন।
ভরা পেটে কখনই ঘুমোতে যাবেন না। রাতে ঘুমানোর আগে ক্যামোমিল বা গ্রিন টি খেয়ে নিলে ঘুম ভালো হবে।
ঘুমানোর আগে ধূমপান, মদ্যপান বা চা খাবেন না। বিশেষত স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকবেন।
Discussion about this post