সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বরাবরে ৬ দফা দাবিতে সিলেট জেলা রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন এর নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি পেশ করেছেন।
গত ৩ মে সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান শেষে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক ভাবে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও সিলেটের আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সিলেট জেলা রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেটের রিক্সা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ে একটি পুরতান সংগঠন। ১৯৯৩ সাল থেকে সিলেটের রিক্সা শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ও দাবী আদায়ের লক্ষ্যে এই সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত এই শ্রমিকরা কঠোর পরিশ্রম করে সাধারণ মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। বিশ^ব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সিলেটের জনসাধারণ কম চলাচল করছেন ফলে রিক্সা শ্রমিকদের রোজগার একেবারে কমে গেছে। এমতাবস্থায় রিক্সা শ্রমিকরা কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। তাদের কষ্ট লাঘবে সংগঠনের পক্ষ থেকে ৬ দফা দাবী জানানো হয়।
দাবীগুলো হচ্ছে-
রিক্সা শ্রমিকদের সরকারি সাহায্যের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বর্তমান বাজার মূল্যে রিক্সা শ্রমিকদের ভাড়ার তালিকা নির্ধারণ করা। রিক্সা শ্রমিকদের জন্য আলাদা স্ট্যান্ড এর ব্যবস্থা করা। সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক রোড পারমিট দিয়ে ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলাচল করার ব্যবস্থা। দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ এবং বয়স্ক রিক্সা শ্রমিকদের সরকারি ভাতা প্রদানের জোর দাবী জানানো হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইয়াসিন খান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু বকর সিদ্দিক,শ্রমিক নেতা আনোয়ার হোসেন আনাই, সংগঠনের সহ সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক দীন ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মোল্লা, প্রচার সম্পাদক কুরবান আলী, সদস্য মোবারক আলী, শ্রমিকনেতা আবুল হোসেন, আবুল কাশেম, সালমান আহমদ, বোরহান উদ্দিন বিরাই, কাওছার আহমদ প্রমুখ।
মানবিক দিক বিবেচনা করে জরুরী ভিত্তিতে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও সিলেটের সকল রিক্সা শ্রমিকদের সরকারি সাহায্যের আওতায় নিয়ে আসা সহ সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানান রিক্সা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।