বিশেষ প্রতিনিধিঃরোহিঙ্গ্যা ক্যাম্পে রোহিঙ্গ্যা ভাষায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালু করেছে রোহিঙ্গ্যারা। রোহিঙ্গ্যা ক্যাম্পে রোহিঙ্গ্যারা দশ লক্ষ বাংলাদেশী বিভিন্ন কোম্পানির সিম ব্যবহারকে নিয়ে উখিয়া-টেকনাফের জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
উখিয়া- টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গ্যা ক্যাম্পে ১২ লক্ষ রোহিঙ্গ্যা জনগোষ্ঠির হাতে হাতে কিভাবে দেশীয় এই সিম ব্যবহার হচ্ছে অচিরে তা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্থানীয়দের দাবী।
কুতুপালং বাজার এলাকার স্থানীয় নাগরিক, ব্যবসায়ী ও রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রোহিঙ্গ্যা ক্যাম্পের ভিতর থেকে কিছু সেন্ডিকেট মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে বিভিন্ন সিম কোম্পানির অসাধু ব্যক্তিদের মাধ্যমে ক্যাম্পের ভিতর সিম সরবরাহ করছে বলে আমি শুনেছি।
তিনি আরো বলেন বিভিন্ন সিম কোম্পানির কথিত লোভী ব্যক্তিরা প্রতি সিম ৪শত থেকে ৫শত টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতেছে বলে শুনতে পাই। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, রোহিঙ্গ্যারা বিভিন্ন এনজিও থেকে চাল, ডাল, কাপড়, তৈল, সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনিয় সব কিছু পাওয়ার পরও ক্যাম্পের ভিতর কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে আসছে, আর সেই ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন সিম কোম্পানির লোকদের সহায়তায় বায়োমেট্রিক করা সিমগুলা ক্রয় করে তুলে দিচ্ছে রোহিঙ্গ্যাদের হাতে।
রোহিঙ্গ্যাদের ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়ার কারনেই তারা বাংলাদেশী সিম ব্যবহার করে জড়িয়ে যাচ্ছে অপকর্মে।এবং পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ করে তুলতে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।
স্থানীয়রা বলেন, রোহিঙ্গ্যা উগ্রবাদী গোষ্ঠি যুবকরা এসব সিম ব্যবহার করে টুইটার, ফেইসবুক, ইমু, বাইবার এবং রোহিঙ্গ্যা ভাষায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালু করেছে। শুধু তাই নয় ইউটিউভের মাধ্যমে নানান উস্কানি মুলক খবরও প্রচার করছে এই সিম ব্যবহার করে। এই সিম ব্যবহারের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসন বাধাগ্রস্থ করতে ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে।
সর্বশেষ, উপরোক্ত বিষয়ে রোহিঙ্গ্যারা যাতে মোবাইল সুবিদা না পায় তার জন্য সাতদিনের মধ্যে তা নিশ্চিত করতে সব অপারেটরকে জরুরী নির্দেশ প্রদান করেছে বিটিআরসি।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা(বিটিআরসি)উক্ত সংস্থার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া)মোঃ জাকের হোসেন জানান,রোববার দেশের সব অপারেটরদেরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে চিঠিতে উল্লেক করা হয়েছে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, গুরুত্ব বিবেচনা, আইনশৃংখলা রক্ষা ও জনসুরক্ষার স্বার্থে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি যাতে মোবাইলের সুবিদা নাপায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে রোহিঙ্গাদের সিম বিক্রি ও সিম ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
উখিয়া-টেকনাফের সচেতন নাগরিকের প্রশ্ন কার নামে এই সিম বায়োমেট্রিক করে ।কারা রোহিঙ্গাদের হাতে তুলে দিচ্ছে দেশের ভিবিন্ন অপারেটরের সিম। বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা প্রয়োজন মনে করছে সচেতন নাগরিক সমাজ।
উল্লেখ্য যে, ২০১৭সালের ২৩আগষ্ট তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশী সিম ব্যবহার বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার করে নিবন্ধিত সিম রোহিঙ্গাদের হাতে তুলে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াসহ রোহিঙ্গাদের সিম ব্যবহার বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। পরে কিন্তু সেই নির্দেশনা ভাটা পড়েছিল।
তাই এখন রোহিঙ্গারা দেশীয় সিম ব্যবহার করে বেপরোয়া চলাফেরা সহ অসামাজিক ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে বাধা গ্রস্থ করতে নানান অপপ্রচারনা চালিয়ে আসছে ।