বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে ফিরে যাওয়ার মতো সহায়ক পরিবেশ তৈরির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে মিয়ানমার সফর করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।
পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, এ সফর শিগগিরই হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার মতো সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়েছে কিনা, ঘরবাড়ি তৈরি হয়েছে কিনা, তাদের চলাফেরা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের কী অবস্থা হবে, সেটি দেখতে তিনি স্বশরীরে মিয়ানমারে যাবেন।
ঢাকায় মেরিটাইম কাউন্টার টেররিজম বিষয়ে মঙ্গলবার এক কর্মশালার উদ্বোধনের পর পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সম্প্রতি বেজিংয়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির দফতরের মন্ত্রী কিয়া তিন্ত সোয়ে এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত এলো।
গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন, গণহত্যা ও গণধর্ষণের মুখে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করে। গত ১১ মাসে অন্তত সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
আশ্রয় নেয়া কিছু রোহিঙ্গার নাম যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমার মনে হয়, সহসাই প্রত্যাবাসন শুরু হবে।
তবে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি জটিল বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার মনে হয়, বাংলাদেশে এটি যত দ্রুততার সঙ্গে এগিয়েছে, অন্য দেশে তত দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হয়নি। সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়ে গেলে প্রত্যাবাসন দ্রুততার সঙ্গে শুরু হবে বলে আশা করি।
Discussion about this post