বিশেষ প্রতিবেদকঃপ্রাইমারী স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। এক বক্স রঙ পেন্সিল ছিল তার কাছে পুরো স্বপ্নের মতো। দুই দিস্তা সাদা খাতা, পেন্সিল, ক্যালেন্ডারের সাথে ছোট্ট বোনটি রঙ পেন্সিলের সুন্দর বক্সটি পেয়ে মহাখুশী।
চতুর্থ শ্রেণির ছোট ভাইটি খাতা, পেন্সিল ইত্যাদির সাথে নতুন জ্যামিতি বক্স পেয়ে বেশ আনন্দিত।
সিক্সের বোনটি ১ ডজন কলম, পেন্সিল, খাতা ইত্যাদি পেয়ে খুশীর সাথে বলে ফেলে এতে তার পুরো এক বৎসর কেটে যাবে।
শুধু কি শিক্ষা সামগ্রী! পরিবারের সকলের জন্য চনাবুট, আলু, চিনি, সয়াবিন তৈল, চিড়া, পিঁয়াজ, মুড়ি ইত্যাদি পেয়ে তাদের সাথে আসা অভিভাবকগণো মহা খুশী। তারা কথা দিয়েছেন স্কুলে নিয়মিতই বাচ্চাগণকে পাঠিয়ে দিবেন।
এভাবে পুরো স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণির চব্বিশ জন শিক্ষার্থী, যারা শ্রেণিতে সর্বোচ্চ দিন উপস্থিত ছিলেন তারা আজ বেশ হাসিমুখেই বাড়ী ফিরেছেন।
আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে সকাল ১১ টায় নগরীর চান্দগাঁও এন এম সি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাসে সর্বোচ্চ উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে বিলি করা হয় শুকনো ইফতার সামগ্রী ও শিক্ষা উপকরণ। এন এম সি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব এন এইচ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুল কমিটির সম্মানিত সদস্য জনাব আলহাজ্ব মুহাম্মদ আলী।
প্রধান অতিথি শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, আজকের দেয়া খাতা লিখে শেষ করে ফেললে চান্দগাঁও থানাধীন গোলাম আলী নাজির পাড়াস্থ আল হুমাইরা (রা) মহিলা ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার পাশে অবস্থিত ফাউন্ডেশন অফিস থেকে তাদের আবার খাতা দেওয়া হবে। এ স্কুল থেকে পাশ করে সরকারি কলেজে বা পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলে ভর্তি ফি কিংবা পাঠ্য বই কিনতে কেউ অপারগ হলে তবে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যাবতীয় সহযোগিতা দেয়া হবে, ইনশাআল্লাহ। এ বৎসর স্কুলে সর্বোচ্চ উপস্থিত থাকার দরুণ তারা আজ এ পুরস্কার পেয়েছে। আগামী বৎসর স্কুলে সর্বোচ্চ উপস্থিত শিক্ষার্থীদের আরো বেশী পুরস্কার দেয়া হবে।