মোহাম্মদ খোকা:ভোলার তজুমদ্দিন দক্ষিণ খাশেরহাট শারিরীক প্রতিবন্ধি আঃ ছাত্তার লোকের কাছে হাত না বাড়িয়ে সংসারে পাঁচ সদস্যে নিয়ে জীবন চালাতে করছেন ছোটো একটি চায়ের দোকান। সমিতির ঋনের টাকায় ৫-বছর আগে ব্যবসা শুরু করে আত্মমর্যাদার সাথে চলছে তার জীবন ও পরিবার। বর্তমানে ঋনের টাকা পরিশোধ করতে চাইছেন সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা। তিনি আরো বলেন সুদে টাকা নেওয়া মহাপাপ তবে সুদ বিহীন টাকা দিয়ে ব্যাবসা করলে সেই ব্যাবসায় উন্নতি হয় ,তিনি আরো বলেন সুদে টাকা নিয়ে তিনি যে ভুল করেছেন এই ভুল আর কোন বক্তি ও চায়ের দোকানদার গণ যেন না করেন সুদে টাকা নেওয়াটাই ছিল তাহার ভুল
প্রতিবন্ধি আঃ ছাত্তার, ভোলা – তজুমদ্দিন উপজেলার, শম্ভুপুর ইউনিয়নের মুকবুল আহম্মদ হাওলাদার বাড়ীর মৃত আলী হোসেনের ছেলে প্রতিবন্ধি আঃ ছাত্তার। বয়স ৩৫। পাঁচ ভাই দুই বোনের মধ্যে একমাত্র প্রতিবন্ধি আঃ সাত্তার চতুর্থ। অভাবের সংসারে লেখা পড়া করেছে ৬ষ্ঠ শ্রেনী পর্যন্ত। ভাই বোনেরা সবাই বিবাহিত। তারা সংসার নিয়ে বসবাস করছেন এলাকার বাহিরে। ভিটে বাড়ীসহ ১৬ শতাংশ পৈত্রিক সম্পত্তির মালিক সাত ভাই বোন। ছাত্তারের সংসারে রয়েছে , মা-বিবি মরিয়ম, স্ত্রী-বিবি লাইজু, স্কুলগামী ১২ বছরের ছেলে মোঃ রিফাত ও আট বছরের মেয়ে রিপা। ছেলে মেয়ের লেখা পড়া, সংসারের ভরণ-পোষণ, দোকানের ভাড়াসহ ঋনের কিস্তি পরিশোধ করতে গিয়ে দিন দিন হাঁপিয়ে উঠেছে প্রতিবন্ধি আঃ ছাত্তারের জীবন।
শিশুকাল থেকেই কারো কাছে হাত পাতা, ভিক্ষা করা অপমান বোধ করতেন ছাত্তার। অন্যের বাসায়, দোকানে, ক্ষেত খামারে কাজ করে সহযোগীতা করতেন বাবাকে। পাঁচ বছর আগে বাবার মৃত্যুর পর কাজ করেই মাকে নিয়ে স্ত্রী সন্তানসহ সংসার চালাচ্ছেন প্রতিবন্ধি আঃ ছাত্তার। সাড়ে তিন বছর আগে সোনালী মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি থেকে ২০ হাজার টাকা ঋন নিয়ে চা দোকান শুরু করেন। বর্তমানে ওই সমিতি তাকে একলক্ষ টাকা ঋন প্রদান করেছেন। কর্মঠ আঃ ছাত্তারের স্বভাব চরিত্র ও লেন-দেন ভালো হওয়ায় ৫০ হাজার টাকা ঋন দিয়েছেন শাপলা মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি। জনকল্যাণ মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি দিয়েছে ৩০ হাজার টাকা। তবে ঋনের বোঝা ভারি হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন আঃ ছাত্তার। চাইছেন সুদ বিহীন ঋন ও সরকারী সহযোগীতা।
প্রতিবন্ধি ভাতা পাওয়া আঃ ছাত্তার আরো বলেন, আমার কোন জায়গা-সম্পদ নাই। ভিক্ষা করা অপমান মনে করি। তাই কাজ করে জীবন চালাইতে চাই। সরকার ও ধনী মানুষের সহযোগীতা পাইলে সমিতির দেনা পরিশোধ করে মা ও পরিবার পরিজন নিয়ে কাজ করে দুই বেলা খেয়ে বাঁচতে পারবো। তার মায়ের নামে একটি বয়স্ক ভাতা বা বিধবা ভাতার কার্ড হলে অনেক উপকার হবে বলে জানান।
Discussion about this post