বিশেষ প্রতিবেদকঃ“ভীষণ বিপদে পড়ে ডাকছি তোমায়, বাছুর হারায়া যাওয়া গাভীর গলায়” কিংবা “নদীই যদি না থাকে তবে কেন এতো ব্রিজের প্রাচুর্য” এমন অগণিত অপ্রাপ্তিভাবনা মাথায় গিজগিজ করে। গ্রাম শহর হবে এইসব কীসের বার্তা বহন করে!
মানুষ যে মানুষের জায়গা থেকে সরে যাচ্ছে বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে। এক পর্যায়ে শীতঋতুর নানা দিক নিয়ে ছোট্ট করে কথা চালান কবি ও সংগঠক অসীম সরকার।
৫ ফেব্রæয়ারি শুক্রবার ‘মেঠোসুর ষড়ঋতু উদযাপন পর্ষদ’ এর আয়োজনে কাস্টমর্স কর্মকর্তা অঞ্জন সরকার এর সভাপতিত্বে ও কবি বিমান তালুকদার এর সঞ্চালনায় হাকালুকি হাওরে শিশুদের শীতঋতুর সাথে পরিচয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এম.সি কলেজ সিলেটের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুনীল ইন্দু অধিকারী, কবি নিপু মল্লিক, হাওরপারের ধামাইল বাংলাদেশের সভাপতি বিনয় ভ‚ষণ তালুকদার, জিন্দাবাজার মিউজিয়াম অব রাজাসের পক্ষে মাহবুব রহমান, নাট্যকর্মী প্রলয় দে, কবি মেকদাদ মেঘ, প্রকৌশলী রতন দেবনাথ, সংগঠক ঝর্ণা চৌধুরী, প্রভাষক আনসার হাজারী, সংবাদকর্মী আশরাফ আহমেদ, কলেজ শিক্ষার্থী বিপ্রজিত তালুকদার দীপ প্রমুখ।
হিজল গাছের ছায়ায় বসে গান পরিবেশন করেন বাউল বশির উদ্দীন সরকার, বাউল লাল শাহ, মল্লিকা দেবী, শিক্ষক রাজীব দে চৌধুরী, দীপালি তালুকদার, প্রদ্যুত লিটন, বিমান তালুকদার, অদিতি রায় বর্মণ, তাহসিন রহমান, দেবযানী সরকার মৌন, নিতু মল্লিক, বিপ্রজিৎ সরকার। নৃত্য পরিবেশন করেন বিদ্যূষী চৌধুরী বৃন্ত।
এছাড়াও কবিতা, ছড়া, নাটিকা, সঙ্গীতে প্রায় পঞ্চাশজন শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করে। এইদিন বাউল বশির উদ্দিন সরকার এর জন্মদিন থাকায় শিশু-কিশোরসহ সকলকে নিয়ে উদযাপন করা হয়। জন্মদিন
উদযাপন শেষে শিশু-কিশোরদের হাতে ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ বই দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গৌতম দত্ত, বিষ্ণু চৌধুরী, নমিতা মল্লিক, ঝুমা পাল, আখতার হাসান, জুঁই সরকার, সুমনা চৌধুরী, সৌরভ চন্দ্র দাশ, পূজন তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম, অজয় সরকার, আব্দুল হাফিজ নোমান, মুন্না সরকার, মোঃ সোহেল আহমদ, দ্বীপ দাস, গৌরব দত্ত, আদিত্য রায় বর্মণ, তাহমিদ রহমান, রাজ দাস, তপু দাস, শাওন আহমেদ প্রমুখ।
শিশুদের এই বিশেষ আয়োজনে বিশেষভাবে ঋণী জিন্দাবাজার মিউজিয়াম অব রাজাসের জাহাঙ্গীর আহমদ, ব্যবসায়ী নন্দনাল গোপ, অলক চৌধুরী, সাংবাদিক আনিস রহমান, নাট্যকর্মী প্রলয় দে, প্রত্যুষ তালুকদার, সাংবাদিক আকাশ চৌধুরী, জাহেদ আহমদ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গের কাছে।
প্রকৃতির ও ঋতুর সাথে আমাদের শিশুদের পরিচয় করিয়ে দিতেই দুই মাস অন্তর অন্তর এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ‘মেঠোসুর’।