জি,এম,আব্দুল মজিদ সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃশ্যামনগর সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনের কারনে ৪ ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।সুন্দরবন উপকূলীয় দাঁতিনাখালী চুনানদীর ৫ নং পোল্ডারে নদী ভাঙ্গন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।হাজার হাজার মানুষ নদী ভাঙ্গনের আতংকে রাত কাটাচ্ছে।বর্তমান ওয়াপদার বেঁড়ীবাধের তিন ভাগের দুইভাগ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।সামনের বড় জোয়ারে দক্ষিণের বাতাসের ঝাপটা দিলে ভয়াবহ আকার রুপ ধারণ করার সম্ভববনা রয়েছে। এ ছাড়া আতিয়ার মোড়লের বাড়ী সংলগ্ন রিংবাধ এর ভিতর দিয়ে বড় জোয়ারের সময় নদীর পানি ভিতরে প্রবেশ করছে। দ্রত ব্যবস্তা গ্রহন না করলে বুড়িগোয়ালিনী,আটুলিয়া,শ্যামনগর সদর, কাশিমাড়ী সহ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে যানমালের ব্যপক ক্ষতি হতে পারে। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে উপজেলার বুড়িগোয়ালিনি দাতনাখালী ৫ নং পোল্ডারের নাসির মোড়লের বাড়ী থেকে সাবেক মেম্বর আঃ জলিলের বাড়ী পর্যন্ত (১৬ শত ৫০ ফুট )নদী ভাঙ্গন দীর্ঘ বছরের সমস্যা।সর্বশেষ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ও মাসুদ রানা জানান, ওই এলাকায় ব্লক বসানোর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে সময় লাগবে এখনও ৬ মাস। কিন্তু সামনের জোয়ারে এলাকার বেড়ীবাঁধ টিকবেনা বলে জানান অনেকে।এলাকাবাসি আরো জানান,দাতনাখালীর ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনের কারন আমরা উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন সাড়া মেলেনি। ইতিমধ্যে উক্ত এলাকার সাতক্ষীরা ৪ আসনের এমপি এস এম জগলুল হায়দার, বিদায়ী জেলা প্রশাসক, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত এলাকা ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন পরিদর্শন করেছিলেন।সূত্র জানায় এলাকায় নদী ভাঙ্গনের বাকি টুকু শুরু হলে বিজিবি হেড কোয়াটার, গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান, অগনিত আধুনিক কায়দার গড়ে ওঠা কাঁকড়া চাষ সহ শ্যামনগর ও কালিগজ্ঞ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন নদীর পানিতে ভেসে যাবে। তাতে করে জান মালের ব্যপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সকলের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ৪ ইউনিয়নের সকল এলাকাবাসি ।