৭১ বাংলাদেশ ডেস্কঃচট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানা এলাকায় নিজ বাসায় খুন হয়েছেন তোফায়েল আহমেদ রফিক (৬০) নামের এক ব্যক্তি।
শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রফিক সংসদ সদস্য এম এ লতিফের স্ত্রীর বড় ভাই তোফায়েল আহমেদ রফিক। ঘটনার পর বাসার কাজের ছেলে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-বন্দর) আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘মাথায় গুরুতর আঘাতের পর রফিকের মৃত্যু হয়েছে। বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। সেসময় তাদের বাসায় কেউ ছিল না। এক ছেলে বাসায় ফেরার পর বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে দ্রুত আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ।
বন্দর থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ জানান, ফকিরহাট এলাকার বারেক মিয়া স্কুলের গলিতে নিজ ভবনে থাকতেন তোফায়েল ওই ভবনে তার দেখাশুনা করতেন ৩-৪ জন গৃহকর্মী। মাসখানেক আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে একজন উপজাতিকে তিনি কাজের জন্য নিয়ে আসেন। এ ঘটনার পর থেকে ওই গৃহকর্মী পলাতক রয়েছেন। ওই গৃহকর্মীর হাতে তিনি খুন হয়েছে বলে ধারণা করছি আমরা। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার পর বাসার ২২ বছর বয়সী ‘কাজের ছেলে’ পালিয়ে যাবার তথ্য দিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘কাজের ছেলের নাম-ঠিকানা কিছুই পরিবারের সদস্যরা জানেন না। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সংগ্রহ করে ২০-২৫ দিন আগে তাকে বাসায় কাজ দেওয়া হয়েছিল। বাসা থেকে মালামাল খোয়া গেছে কি-না সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
স্বজনরা জানিয়েছেন, তোফায়েল আহমেদ রফিকের চার মেয়ে ও দুই ছেলে। তার স্ত্রী মারা গেছেন। চার মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে। তবে দুই ছেলে এখনও অবিবাহিত। চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় রফিক একা থাকতেন। ছেলেরা থাকতেন ওপরের তলায়।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ছেলেরা দোতলায় বাবার কক্ষ বন্ধ দেখে দরজায় আঘাত করেন। বারবার ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে পেছনের সিঁড়ি দিয়ে উঠে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় কক্ষের ভেতরে পড়ে থাকতে দেখতে পান। পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
রফিকের ভগ্নিপতি এম এ লতিফ চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এবং চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি।