দাগনভূঁইয়া থানার ওসি মো. হাসান ইমামের হস্তক্ষেপে ১৬ ঘন্টা পর দাফন করা হল ফেনী পলিটেকনিক ইনস্ট্রিউটের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ৯০ বছর বয়সী হাজী আবু আহমেদ মাস্টারের।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১:৩০ মিনিটের সময় দাগনভূঁইয়া পৌর শহরের আমানউল্যাহপুর গ্রামের হাসপাতাল রোডস্থ জননী ম্যানশনে বাধর্ক্যজনিতকারনে মৃত্যুবরণ করেন সাবেক এ শিক্ষক। তিনি উপজেলার উদরাজপুর গ্রামের মনু হাজী বাড়ীর বাসিন্দা।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মরহুম মাস্টার আবু আহমেদের ২ মেয়ে ও ৭ ছেলে রয়েছে। তম্মধ্যে ছেলে নেছার হাফেজ, সোহেল, কাউছার, হেলাল ও দুই মেয়ে জেসমিন আক্তার এবং গোলশান আরা কে সকল সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে মরহুমের স্ত্রী ফিরোজা বেগম, ছেলে ইমাম উদ্দীন পারভেজ, এনায়েত উল্যাহ ফরহাদ ও নেয়ামত উল্যাহকে সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি করে দিয়ে দেন।
জীবিতাবস্থায় মাস্টার আবু আহমেদ সম্পত্তি বঞ্চিতদের কোন সম্পত্তি না দেয়ায় সম্পত্তি বঞ্চিত সন্তানেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এবং তারা সম্পত্তির বিষয় সামাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের পিতা আবু আহমেদ লাশ দাফনে বাধা প্রদান করেন। এসময় ভাই-বোনদের মাঝে সম্পত্তির বিষয় নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে জরুরি সেবা ‘৯৯৯’এ কল করলে সেখান থেকে দাগনভূঁইয়া থানাকে অবহিত করে। খবর পেয়ে দাগনভূঁইয়া থানার ওসি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং স্থানীয় সাবেক কমিশনার আহমেদ জুয়েল সহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও নিহতের সন্তানদের নিয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাসান ইমাম বৈঠকে বসে সম্পত্তির বিষয়টি পরবর্তিতে সামাধান করার আশ্বাস প্রদান করেন। এবং ১৬ ঘন্টার পর মরহুমের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান ইমাম জানান, লাশ দাফনে বাধা দেয়ার বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি। সম্পত্তির বিষয় নিয়ে পরবর্তিতে সকলকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে সামাধান করা হবে।