সারাদেশে সকল যানবাহনের কাগজপত্র চেকিংএর উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।কিন্তু পটুয়াখালী অবৈধ যানবাহন বন্ধেও নেই কোন পদক্ষেপ। এমনকি কৃষিকাজে ব্যবহারের উপকরণকে যান বানিয়ে দুর্ঘটনাসহ সড়কের বেহালদশা করে দেয়া যানবাহন বন্ধেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ প্রশাসন বলছে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু আদৌ এ অবৈধ যান চলাচল বন্ধ হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান রয়েছে সাধারন মানুষ। কেউ কেউ বলছে ট্রলি, রুস্তুম, হামজা, উলকা বিভিন্ন নামে পরিচিত। অন্তত ১২০০টি এমন যান রয়েছে পটুয়াখালী জেলায়। এসব যানের নেই কোন রুট কিংবা রোড পারমিট। তারপরও দৈত্যাকৃতির যান চলছে ফ্রি-স্টাইলে। এ যানটি কোন রাস্তায় চলাচল করলে আর রক্ষা নেই। খানাখন্দে একাকার হয়ে যায়। শাখারিয়া থেকে হরিদেবপুর ১৭ কিলোমিটার এ রাস্তাটার বেহাল দশা করেছে এই দৈত্যাকৃতির যান। সরকারের কোটি কোটি টাকায় নির্মিত গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিধ্বস্ত করে দিয়েছে এসব অবৈধ বাহন। এটি বন্ধের জন্য পটুয়াখালী জেলায় ০৮ টি থানার সচেতন নাগরিক প্রশাসনের কাছে অবৈধ ট্রলি বন্ধের দাবী জানানো হয়েছে, জানাযায় পটুয়াখালী আইনশৃঙ্খলার সভায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু এখনো বন্ধ হয়নি। এটি যারা ব্যবহার করছেন তাঁরা সবাই প্রভাবশালী। এমন কোন থানা নেই যেখানকার অন্তত ১০/১২ কিলো মিটার পাকা সড়ক এই ট্রলির চাকায় ভেঙ্গে একাকার হয়নি। কিন্তু কখনও বন্ধ হয়নি এই আজব যান। রাস্তাঘাট ভাঙ্গার এ যান এখন পটুয়াখালী জনপদে আতঙ্ক হয়ে গেছে। এই যানের চাকায় পিস্ট হয়ে ইতোমধ্যে কয়েকটি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। আদৌ এ অবৈধ যান চলাচল বন্ধ হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান রয়েছে পটুয়াখালী জেলার সাধারন মানুষ।