৭১ বাংলাদেশ প্রতিনিধি:বোয়ালখালী উপজেলা কানুনগোপাড়ার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার ভাড়া বাসা থেকে এক লাশ উদ্ধার করে বোয়ালখালী থানা পুলিশ। জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি সামাজিকভাবে বোয়ালখালী উপজেলার আমুচিয়া ইউনিয়নের ঘোষপাড়ার মৃত সুকোমল চৌধুরীর বড় ছেলে রাজেশ চৌধুরী বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১৭ মাস বয়সী রিদম চৌধুরী নামের এক সন্তান রয়েছে। নিহত গৃহবধূ মেরী চৌধুরী সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের পশ্চিম কাঠগড় এলাকার মৃত মুকুন্দ জলদাসের দুই মেয়ের মধ্যে বড়। মেরীর মা অনু জলদাস জানান, মেরী নগরীতে থেকে লেখাপড়ার সময় রাজেশের সাথে পরিচয় ঘটে। চার বছর সর্ম্পকের পর সামাজিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। এরপর রাজেশ বিদেশে পাড়ি জমায়। গত বছরের শেষে দিকে রাজেশ বিদেশ থেকে এসে বেকার হয়ে পড়ে এবং মাদকাসক্ত হয়ে প্রায় সময় মেরীর সাথে ঝগড়া বিবাদ করতো। তিনি বলেন, ‘রাজেশের পরিবার আমার মেয়েকে মেনে নেয়নি। তারা প্রায় সময় নিচুজাতপাত বলে গালিগালাজ করতো। মেরীর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে অনেক কষ্ট করে মেয়েদের বড় ও পড়ালেখা করিয়েছি। প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। ওরা পরিকল্পিত ভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এর সুবিচার চাই। ’ মেরীর শ্বাশুড়ি লাকী চৌধুরী জানান, ‘ছেলে তার পরিবার নিয়ে বাড়ির অদূরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতো। বুধবার সন্ধ্যায় লোকজনের মুখে বাসার বাইরে নাতি কান্নাকাটি করছে জানতে পেরে ছুটে যায়। পরে বাসার দরজা না খোলায় এলাকার মেম্বারকে ডেকে আনি। আমি এর বেশি কিছু জানি না। ’ বোয়ালখালী থানার উপ-পরিদর্শক মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘বুধবার রাত ১২টার দিকে খবর পেয়ে, বাসার লোহার দরজা কেটে সিলিং ফ্যানে ওড়না সাথে ঝুলন্ত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক অশান্তির কারণে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করছি। ’ এ ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর বিস্তারিত কারণ জানা যাবে। তবে গৃহবধূর স্বামী পলাতক থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি।