মোঃ আমজাদ হোসেন রতন, নাগরপুর( টাঙ্গাইল):টাঙ্গাইল শহরের নিউ মার্কেট রোডে এস কে পেপার হাউজ নামের বাইন্ডিং কারখানায় অভিযান চালিয়ে তিন লাখ ২২ হাজারটি সিগারেটে লাগানোর নকল ব্যান্ডরোল (শুল্ককর পরিশোধিত লেবেল) সহ তিন জনকে গ্রেপ্তার ও ব্যান্ডরোল ছাপার মেশিন জব্দ করেছে সদর থানা পুলিশ। টাঙ্গাইল থানা পুলিশ জানায়, টাঙ্গাইল মডেল থানার এসআই রফিকুল ইসলাম ও এ এস আই দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২১ অক্টোবর ১৮ইং রাত ১১ টার দিকে শহরের নিউ মার্কেট রোডে তারাপদ সাহার ভবনের নিচ তলায় এস কে পেপার হাউজ নামীয় মোঃ নুর আলমের বাইন্ডিং কারখানায় অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোঃ নুর আলম(২৫) ও মোঃ মারুফ মিয়া(২৫) পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধরে ফেলে এবং বাইন্ডিং কারখানা থেকে তিন লাখ ২২ হাজারটি সিগারেটে লাগানোর নকল ব্যান্ডরোল (শুল্ককর পরিশোধিত লেবেল) জব্দ করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শহরের বেপারী পাড়ার শান্তিকুঞ্জ মোড়ের ভাড়া বাসায় দ্বিতীয় দফা অভিযান চালিয়ে ব্যান্ডরোল ছাপানোর মেশিন হামদা সেভেন হান্ড্রেড (মূল্য এক লাখ ২০ হাজার টাকা) জব্দ ও মেশিনের মালিক মোঃ শাহীনুর সরকার(৩০) কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পুলিশ নকল ব্যান্ডরোল ছাপানোর তিনটি প্লেট ও জব্দ করে। গ্রেফতারকৃত মোঃ নুর আলম নাগরপুর উপজেলার গুনি গ্রামের আঃ ছালাম মিয়ার ছেলে। তিনি সদর উপজেলার কচুয়াডাঙ্গা গ্রামের হাবিবের ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। মোঃ শাহীনুর সরকার নাগরপুর উপজেলার বেকড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি শহরের বেপারীপাড়াস্থ শান্তিকুঞ্জ মোড়ের সাহাবুদ্দিনের বাসা ভাড়া নিয়ে ছাপাখানা পরিচালনার পাশাপাশি নকল ব্যান্ডরোল ছাপাতেন। মোঃ মারুফ মিয়া টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ভাল্লুক কান্দি গ্রামের মোকাদ্দেছ হোসেনের ছেলে। এ বিষয়ে এস আই রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে সোমবার ২২ অক্টোবর ১৮ইং গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ সায়েদুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যে কয়েকজন মূদ্রণ ব্যবসায়ীর নামও ওঠে এসেছে।